তখন যেতেছে অস্তে মলিন তপন।
আকাশ সোনার বর্ণ, সমুদ্র গলিত স্বর্ণ,
পশ্চিম দিগ্বধূ দেখে সোনার স্বপন।
সন্ন্যাসী আবার ধীরে পূর্বপথে যায় ফিরে
খুঁজিতে নূতন ক’রে হারানো রতন।
সে শকতি নাহি আর, নুয়ে পড়ে দেহ-ভার,
অন্তর লুটায় ছিন্ন তরুর মতন।
পুরাতন দীর্ঘপথ পড়ে আছে মৃতবৎ
হেথা হতে কত দূর নাহি তার শেষ।
দিক হতে দিগন্তরে মরুবালি ধূ ধূ করে,
আসন্ন রজনী-ছায়ে ম্লান সর্বদেশ।
অর্ধেক জীবন খুঁজি’ কোন্ক্ষণে চক্ষু বুজি’
স্পর্শ লভেছিল যার এক পল-ভর;
বাকি অর্ধ ভগ্নপ্রাণ আবার করিছে দান
ফিরিয়া খুঁজিতে সেই পরশ-পাথর।
বৈষ্ণব-কবিতা
শুধু বৈকুণ্ঠের তরে বৈষ্ণবের গান?
পূর্বরাগ অনুরাগ মান অভিমান,
অভিার প্রেমলীলা বিরহ মিলন,
বৃন্দাবন-গাথা; এই প্রণয়-স্বপন
শ্রাবণের শর্বরীতে কালিন্দীর কূলে,
চারি চক্ষে চেয়ে দেখা কদম্বের মূলে
শরমে সম্ভ্রমে,—এ কি শুধু দেবতার।
এ সংগীত-রসধারা নহে মিটাবার
দীন মর্ত্যবাসী এই নরনারীদের