ইতিমধ্যে, ওগিলবি পুনরায় ডবলিন্ নগরে গিয়া, এক নূতন নাট্যশালা স্থাপন করিয়াছিলেন; এবং তদ্দ্বারা বিলক্ষণ লাভও হইয়াছিল। বস্তুতঃ, এই সময়ে তিনি সম্যক্ সুখে ও সচ্ছন্দে ছিলেন; অর্থের অভাবজন্য কোন ক্লেশ ছিল না। অবশেষে, ডবলিন্ নগরে ভূমি আদি যে কিছু সম্পত্তি ছিল, সমুদয় বিক্রয় করিয়া, তিনি পুনরায় লণ্ডনে আসিয়া বাস করিলেন। তাঁহার বাস করিবার অব্যবহিত পরেই, লণ্ডনে বিষম অগ্নিদাহ হইল, তাহাতে তাঁহার সর্ব্বস্ব দগ্ধ হইয়া গেল। অগ্নিদাহে সর্ব্বস্বান্ত হওয়াতে, তিনি পুনর্বার পূর্ব্বের ন্যায় বিষম দুঃখে পড়িলেন।
এই রূপে, তিনি বিষম দুঃখে পড়িলেন বটে, কিন্তু তাহাতে হতবুদ্ধি বা ভগ্নোৎসাহ হইলেন না; বরং উৎসাহ ও পরিশ্রম সহকারে নূতন নূতন গ্রন্থের অনুবাদ প্রভৃতি কর্ম্ম করিয়া ত্বরায় গুছাইয়া উঠিলেন; যৎকিঞ্চিৎ সংস্থান করিয়া, পুনরায় বসতিবাটী নির্মাণ করাইলেন; এবং একটি ছাপাখানা