পাতা:চরিত্রহীন - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R চরিত্রহীন শিবপ্রসাদ অত্যন্ত তৃপ্তি বোধ করিলেন। এমন কি, পলিকের আতিশয্যে পত্রিকে কিছুক্ষণের জন্য কাছে ডাকিয়া সংসারের অনিত্যতা সম্বন্ধে অনেক হিত-কথা কহিয়া অবশেষে বলিলেন, উপীন, তোমাকে আর বোঝাব কি বাবা, তুমি নিজেই সমস্ত জানো, সমস্তই বোঝে । এ সংসারে কিছই চিরস্থায়ী নয়।--আজ যা আছে, কাল তা নেই, কাল যা আছে, আজ তা নেই।-কেউ কারো নয়-সব মিছে, সমস্তই মায়ার খেলা ! এই কথাটি সব দা মনে রেখে বাবা, কখনো আখের নম্ৰাট করো না । প্রাণপণে উন্নতি করবার এই তা সময় । কে কার ঐ শাস্ত্রে আছে, চলাচলমিদং সৰবৎ কীত্তিষস্য সী uTDDS BBL BDBDS DB DBBS DuB DBDBS BBDBB DDD DDD S DD DBBBB ওপরেই সমস্ত নিভাির । দেখি না, সতীশের বাবা কিরকম টাকাটা রেখে গেলেন বল দেখি ? বলিয়া গম্ভীরভাবে মাথা নাড়িতে লাগিলেন। উপেন্দ্র আনন্ত-মখে নিঃশব্দে সমস্ত শনিয়া যে আজ্ঞা’ বলিয়া কাছারি চলিয়া গেল । আদালতে সতীশের দাদার সঙ্গে সাক্ষাৎ হইল, তিনি এই দীঘটনার জন্য অত্যন্ত দঃখ প্রকাশ করিয়া অবশেষে সতীশের কথা পাড়িলেন। উপেন্দ্রর ধারণা ছিল যে সতীশ পিতার মাতুত্যু হইতে বাড়িতেই আছে, কিন্ত এখন শনিতে পাইল যে, সে বাড়িতেই আছে বটে, কিন্তু এখানের নহে, দেশের । টানবাব সতীশের বৈমাত্ৰেয় বড় ভাই। কোন দিন তাহাকে সনজরে দেখেন নাই-এক বাড়িতে বাস করিয়াও কখনো তাহার একটা সংবাদ পর্যািলত রাখার প্রয়োজন বোধ করেন নাই । বস্ততঃ সতীশের সহিত তহিরে সম্বন্ধ ছিল না বলিলেও অন্যায় হয় না। পিতার মাতুতে অধোঁক শরিক হইয়া সে দাদার আরও বিষদাঁটিতে পড়িয়াছে । বলিলেন, এর মধ্যেই প্রায় ত্রিশ-চল্লিশ হাজার টাকা খরচ করে মস্ত দই ডিসপেনসারী খালেচে, এক শ’ টাকা মাইনে দিয়ে এক ডাক্তার এনেচে, তা ছাড়া বাড়িটাকে পযন্ত হাসপাতাল করে তুলেচে । উপেন্দ্র সহজভাবে বলিল, হাঁ, এ মতলব তার অনেকদিন থেকেই ছিল, শািন্ধ টাকার অভাবেই এতদিন পারেনি বোধ করি। টনবাব, শ্লেষ করিয়া একটি হাসিয়া কহিলেন, সে তো আমিও বোধ করি হে উপীন। কিন্ত, শািন্ধ, ডিসপেনসারি খোলার মতলবই ত তুমি জানতে, কিন্তু, তার BDSSYBBB BBLBDBDBD DO BB DDDD DDD DDD S উপেন্দ্ৰ আশ্চযা হইয়া জিজ্ঞাসা করিল। সাধন-ভজন কি রকম ? টনবাব, বলিলেন, এই যেমন চক্ৰ, কারণ, পঞ্চমকার ইত্যাদি ৷ শািন্ধ, ফিলান“থাপিস্ট নয় হে, সতীশ স্বামী এখন একজন উচুদরের সাধক । গেরিয়া বসন. বড় বড় চুল-দাড়ি, রুদ্রাক্ষ-মালা, কপালে সিদরের ফোঁটা-সদাই ঘাণিত লোচন ! তার একটা সই নেবার জন্য রাসবিহারীকে পাঠিয়েছিলাম, সে ত ভয়ে দশদিন কাছেই ঘেষতে পারেনি। --আর এই চিঠিখানা পড়ে দেখ, তার চাকর বেহারী আমাকে লিখে পাঠিয়েছে।--জবাব দেওয়া এখনো হয়নি, তাই পকেটে পকেটেই ঘরচে, বলিয়া তিনি একখানা হলদে রঙের ভাঁজকরা কাগজ বাহির করিয়া উপেন্দ্রর সন্মখে রাখিয়া দিলেন। নিরাপায় বেহারী সতীশের অগ্রজের কাছে উপায় ভিক্ষা করিয়া এই পত্ৰখানি পাঠাইয়াছেন। খুব সম্ভব, সে গ্রামের কোন অজ্ঞ বালককে ধরিয়া পত্ৰখানি লিখাইয়া