ছয়
দিন পনেরো পরে শঙ্কর ও আলভারেজ্ উজিজি বন্দর থেকে ষ্টীমারে টাঙ্গানিয়াকা হ্রদে ভাস্ল। হ্রদ পার হয়ে আলবার্টভিল বলে একটা ছোট সহরে কিছু আবশ্যকীয় জিনিষ কিনে নিল। এই সহর থেকে কাবালো পর্য্যন্ত বেলজিয়ম গভর্ণমেণ্টের রেলপথ আছে। সেখান থেকে কঙ্গো নদীতে ষ্টীমারে চড়ে তিনদিনের পথ সান্কিনি যেতে হবে, সান্কিনিতে নেমে কঙ্গো নদীর পথ ছেড়ে, দক্ষিণ মুখে অজ্ঞাত বনজঙ্গল ও মরুভূমির দেশে প্রবেশ করতে হবে।
কাবালো অতি অপরিষ্কার স্থান, কতকগুলো বর্ণসঙ্কর পর্টুগিজ ও বেলজিয়ানের আড্ডা।
ষ্টেশনের বাইরে পা দিয়েচে এমন সময় একজন পর্টুগিজ ওর কাছে এসে বল্লে—হ্যালো, কোথায় যাবে? দেখচি নতুন লোক, আমায় চেনো না নিশ্চয়ই। আমার নাম আলবুকার্ক।
শঙ্কর চেয়ে দেখলে আলভারেজ তখনও ষ্টেশনের মধ্যে।
লোকটার চেহারা যেমন কর্কশ তেমনি কদাকার। কিন্তু সে ভীষণ জোয়ান, প্রায় সাত ফুটের কাছাকাছি লম্বা, শরীরের প্রত্যেকটি মাংসপেশী গুণে নেওয়া যায়, এমন সুদৃঢ় ও সুগঠিত
শঙ্কর বল্লে—তোমার সঙ্গে পরিচিত হয়ে সুখী হলাম।
লোকটা বল্লে—তুমি দেখছি কালা আদমি, বোধহয় ইষ্ট ইণ্ডিজের। আমার সঙ্গে পোকার খেলবে চলো।