পাতা:চারিত্রপুজা ২য় সংস্করণ.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

W2 চারিত্রপূজা প্রতিমা গড়িবার জন্ত চাদ দিয়া ঐহিক-পারত্রিক কোনো ফললাভ করে, এ কথা মনে করিতে পারি না। সকলকেই যে গানে ওস্তাদ হইতে হইবে, এমন কোনো অবশুবাধ্যতা নাই। কিন্তু সাধুতা বা বীরত্ব সকলেরই পক্ষে আদর্শ। সাধুদিগের এবং মহৎকৰ্ম্মে প্রাণ বিসর্জনপর ৰীরদিগের স্মৃতি সকলেরই পক্ষে মঙ্গলকর । কিন্তু দল বাধিয়া ঋণশোধ করাকে সেই স্মৃতি পালন কহে না ; স্মরণব্যাপার প্রত্যেকের পক্ষে প্রত্যহের কৰ্ত্তব্য । যুরোপে এই ক্ষমতা এবং মাহাত্ম্যের প্রভেদ লুপ্তপ্রায়। উভয়েরই জয়ধ্বজা একই-রকম, এমন কি, মাহাত্ম্যের পতাকাই যেন কিছু খাটো । পাঠকগণ অনুধাবন করিয়া দেখিলেই বুঝিতে পারিবেন, বিলাতে অভিনেতা আভিঙের সম্মান পরমসাধুর প্রাপ্য সম্মান অপেক্ষ অল্প নহে। রামমোহন রায় আজ যদি ইংলণ্ডে যাইতেন, তবে তাহার গৌরব ক্রিকেটু খেলোয়াড় রঞ্জিতসিংহের গৌরবের কাছে খৰ্ব্ব হইয়া থাকিত । য়ুরোপে ক্ষমতাশালী লোকের জীবনচরিত লেখার একটা নিরতিশয় উদ্যম আছে। যুরোপকে চরিতবায়ুগ্ৰস্ত বলা যাইতে পারে। কোনোমতে একটা যে-কোনো-প্রকারের বড়োলোকত্বের মুদুর গন্ধটুকু পাইলেই তাহার সমস্ত চিঠিপত্র, গল্পগুজব, প্রাত্যহিক ঘটনার সমস্ত আবর্জন সংগ্ৰহ করিয়া মোট দুই ভলুমে লিখিত জীবনচরিতের জন্ত লোক ই করিয়া বসিয়া থাকে। ষে নাচে, তাহার জীবনচরিত, যে গান করে, তাহার জীবনচরিত, যে হাসাইতে পারে, তাহার জীবনচরিত—জীবন যাহার যেমনই হোক, যে-লোক কিছু-একটা পারে, তাহারই জীবনচরিত! কিন্তু যে মহাত্মা জীবনযাত্রার আদর্শ দেখাইয়াছেন, তাহারই জীবনচরিত সার্থক ; যাহারা সমস্ত জীবনের দ্বারা কোনো কাজ করিয়াছেন,তাহাদেরই জীবন আলোচ্য। যিনি কবিতা লিখিয়াছেন, গান তৈরি করিয়াছেন,