ჯ o-8 চারিত্রপূজা দিকেই আমাদের সমস্ত দৃষ্টি না যায়, আজ যদি তাহার নিজের বিশেষম্বের দিকে আমাদের দৃষ্টি কোনো অংশে ঠেকিয়া যায়, তবে গুরুর অবমাননা হুইবে। মহর্ষি একদিন পরিপূর্ণ-ভোগের মাঝখানে জাগিয়া-উঠিয়া বিলাসমন্দিরের সমস্ত আলোকে অন্ধকার দেখিয়াছিলেন। সেইদিন তিনি তৃষাৰ্ত্তচিত্ত লইয়া পিপাসা মিটাইবার জন্য দুর্গমপথে যাত্রা করিয়াছিলেন, সে কথা সকলেই জানেন। যেখান হইতে অমৃত-উৎস নিঃস্থত হইয়। সমস্ত জগৎকে বাচাইয়া রাখিয়াছে, সেই তীর্থস্থানে তিনি না গিয়া ছাডেন নাই। সেই তীর্থের জল তিনি আমাদের জন্যও পাত্রে ভরিয়া আনিয়াছিলেন। এ পাত্র আজ-বাদে-কাল ভাঙিয়া যাইতেও পারে, তিনি যে ধৰ্ম্মসমাজ দাড় করাষ্টয়াছেন, তাহার বর্তমান আকৃতি স্থায়ী না হইতেও পারে ; কিন্তু তিনি সেই যে অমৃত-উৎসের ধারে গিয়া নিজের জীবনকে ভরিয়া লইয়াছেন, ইহাই আমাদের প্রত্যেকের লাভ। এই লাভ নষ্ট হইবে না, শেষ হইবে না। পূৰ্ব্বেষ্ট বলিয়াছি, ঈশ্বরকে আর কাহারে হাত দিয়া আমরা পাইব না। র্তাহার কাছে নিজে যাইতে হইবে, র্তাহাকে নিজে পাইতে হুইবে । দুঃসাধ্য হয় সেও ভালো, বিলম্ব হয় তাহাতে ক্ষতি নাই। অন্তের মুখে শুনিয়া, উপদেশ পাইয়া, সমাজবিহিত অনুষ্ঠান পালন করিয়া আমরা মনে করি, যেন আমরা চরিতার্থতা লাভ করিলাম, কিন্তু সে তো ঘটির জল, সে তো উৎস নহে। তাহা মলিন হয়, তাহ ফুরাইয়া যায়, তাহাতে আমাদের সমস্ত জীবন অভিষিক্ত হয় না এবং তাহা লইয়া আমরা বিষয়ীলোকের মতোই অহঙ্কার ও দলাদলি করিতে থাকি। এমন ঘটির জলে আমাদের চলিবে না—সেই উৎসের কাছে আমাদের প্রত্যেককেই যাইতে হইবে—ঈশ্বরের সঙ্গে আমাদের নিজের একান্ত সম্বন্ধ
পাতা:চারিত্রপুজা ২য় সংস্করণ.pdf/১০৮
অবয়ব