পাতা:চারিত্রপুজা ২য় সংস্করণ.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চারিত্রপূজা ! ט6 פ: অতএব মহাপুরুষদের জীবনে আমরা প্রথমে দেখি, তাহার কোন আকর্ষণে সমস্ত ত্যাগ করিয়া চলিয়াছেন ; তাহার পরে দেখিতে পাই, কোন লাভে র্তাহীদের সমস্ত তাগ সার্থক হইয়াছে ! এইদিকে আমাদের মনের জাগরণটাই আমাদের লাভ । কারণ, এই জাগরণের অভাবেই কোনো লাভই সম্পন্ন হষ্টতে পারে না । তার পরে যদি ভাবিয়া দেখি, পাইবার ধন কোথায় পাওয়া যাইবে, কেমন করিয়া পাইব, তবে এই প্রশ্নই করিতে হইবে, র্তাহারা কোথায় গিয়াছেন, কেমন করিয়া পাষ্টয়াছেন । । মহৰ্ষির জীবনে এই প্রশ্নের কী উত্তর পাই ? দেখিতে পাই, তিনি র্তাহার পূর্বতন সমস্ত সংস্কার, সমস্ত আশ্রয় পরিত্যাগ করিয়া একেবারে রিক্তহস্তে বাহির হইয়া পড়িয়াছেন। সমাজের প্রচলিত প্রথা তাহাকে ধরিয়া রাখে নাই, শাস্ত্র তাহাকে আশ্রয় দেয় নাই। র্তাহার ব্যাকুলতাই র্তাহাকে পথ দেখাইয়া চলিযাছে । সে পথ তাহার নিজেরই প্রকৃতির গভীর গোপন-পথ । সব পথ ছাড়িয়া সেই পথ ওঁহাকে নিজে আবিষ্কার করিয়া লইতে হইয়াছে। এ আবিষ্কার করিবার ধৈর্য ও সাহস র্তাহার থাকিত না, তিনিও পাচজনের পথে চলিয়া, ধৰ্ম্ম না হউক, ধাৰ্ম্মিকতা লাভ করিয়া সন্তুষ্ট থাকিতেন। কিন্তু তাহার পক্ষে যে না পাইলে নয় হইয়া উঠিয়াছিল, সেইজন্য র্তাহাকে নিজের পথ নিজেকে বাহির করিতে হইয়াছিল। সেজন্য র্তাহাকে যত দুঃখ, যত তিরস্কার হউক, সমস্ত স্বীকার করিতে হইয়াছিল-ইহা বচাইবার জো নাই। ঈশ্বর যে তাহাই চান। তিনি বিশ্বের ঈশ্বর হইয়াও আমাদের প্রত্যেকের সঙ্গে একটি নিতান্ত একমাত্র স্বতন্ত্র সম্বন্ধে ধরা দিবেন—সেইজন্ত আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে তিনি একটি দুর্ভেদ্য স্বাতন্ত্র্যকে চারিদিকের আক্রমণ হইতে নিয়ত রক্ষা করিয়াছেন- এই অতি নিৰ্ম্মল নির্জন-নিভৃত স্বাতন্ত্রোর মধ্যেই তাহার.