পাতা:চারিত্রপুজা ২য় সংস্করণ.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যাসাগরচরিত * বিদ্যাসাগরের চরিত্রে যাহা সৰ্ব্বপ্রধান গুণ—যে-গুণে তিনি পল্লীআচারের ক্ষুদ্রতা, বাঙালিজীবনের জড়ত্ব সবলে ভেদ করিয়া একমাত্র নিজের গতিবেগপ্রাবল্যে কঠিন প্রতিকূলতার বক্ষ বিদীর্ণ করিয়া— হিন্দুত্বের দিকে নহে, সাম্প্রদায়িকতার দিকে নহে-করুণার অশ্রজলপূর্ণ উন্মুক্ত অপার মনুষ্যত্বের অভিমুখে আপনার দৃঢ়নিষ্ঠ একাগ্র একক জীবনকে প্রবাহিত করিয়া লইয়া গিয়াছিলেন, আমি যদি অদ্য র্তাহার সেই গুণকীৰ্ত্তন করিতে বিরত হই, তবে আমার কর্তব্য একেবারেই অসম্পন্ন থাকিয় যায়। কারণ, বিদ্যাসাগরের জীবনবৃত্তাস্ত আলোচনা করিয়া দেখিলে এই কথাটি বারংবার মনে উদয় হয় যে, তিনি যে বাঙালি বড়োলোক ছিলেন, তাহা নহে, তিনি যে রীতিমতো হিন্দু ছিলেন, তাহাও নহে—তিনি তাহা অপেক্ষাও অনেক বেশি বড়ো ছিলেন, তিনি যথার্থ মানুষ ছিলেন। বিদ্যাসাগরের জীবনীতে এই অনন্তমূলভ মনুত্বের প্রাচুর্য্যই সৰ্ব্বোচ্চ গৌরবের বিষয়। র্তাহার সেই পৰ্ব্বতপ্রমাণ চরিত্রমাছাত্ম্যে র্তাহারই কৃতকীৰ্ত্তিকেও খৰ্ব্ব করিয়া রাখিয়াছে।

  • ১৩০২ সালের ১৩ই শ্রাবণ অপরাহ্লে বিদ্যাসাগরের স্মরণার্থলভার সাংবৎসরিক জধিবেশনে এমরান্ড থিয়েটার রঙ্গমঞ্চে গঠিত।