পাতা:চারিত্রপুজা ২য় সংস্করণ.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१९ চারিত্রপূজা জষ্ঠ কেন বিদ্যাসাগরকে এই মাতৃদেবী ব্যতীত কোনো পৌরাণিক দেবীপ্রতিমার মন্দিরে প্রবেশ করিতে হয় নাই । ভগবতী দেবীর অকুষ্ঠিত দয়া তাছার গ্রাম, পল্লী, প্রতিবেশীকে নিয়ত অতিৰিক্ত করিয়া রাখিত । রোগার্তের সেবা, ক্ষুধাৰ্ত্তকে অরদান এবং শোকাতুরের দুঃখে শোকপ্রকাশ করা তাহার নিতানিয়মিত কাৰ্য্য ছিল। অগ্নিদ্বাহে বীরসিংহগ্রামের বাসস্থান ভস্মীভূত হইয়া গেলে বিদ্যাসাগর যখন তাহার জননীদেবীকে কলিকাতায় লইয়া ৰাইবার চেষ্টা করেন, তিনি বলিলেন, “যে সকল দরিদ্রলোকের সস্তানগণ এখানে ভোজন করিয়া বীরসিংহবিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করে, আমি এস্থান পরিত্যাগ করিয়া স্থানান্তরে প্রস্থান করিলে তাহার কী খাইয়া স্কুলে অধ্যয়ন করিবে ?”* দয়াবৃত্তি আরো অনেক রমণীর মধ্যে দেখা যায়, কিন্তু ভগবতী দেবীর দয়ার মধ্যে একটি অসাধারণত্ব ছিল, তাহ। কোনোপ্রকার সঙ্কীর্ণ সংস্কারের দ্বারা বদ্ধ ছিল না। সাধারণলোকের দয়া দিয়াশেলাইশলাকার মতো কেবল বিশেষরূপ সংঘর্ষেই জলিয় উঠে এবং তাহ। অভ্যাস ও লোকাচারের ক্ষুদ্র বাক্সের মধ্যেই বদ্ধ । কিন্তু ভগবতী দেবীর হৃদয়, স্বৰ্য্যের স্তায় আপনার বুদ্ধি-উজ্জ্বল দয়ারশ্মি স্বভাবতই চতুর্দিকে বিকীর্ণ করিয়া দিত, শাস্ত্র বা প্রথাসংঘর্ষের অপেক্ষা করিত না । বিদ্যাসাগরের তৃতীয়সহোদর শম্ভুচন্দ্র বিদ্যারত্ব মহাশয় তাহার ভ্রাতার জীবনচরিতে লিখিয়াছেন যে, একবাৱ বিদ্যাসাগর তাহার জননীকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন, “বৎসরের মধ্যে একদিন পূজা করিয়া ৬৭ শত টাকা বৃথা ব্যয় করা ভালো, কি গ্রামের নিরুপায় অনাথ লোকদিগকে ঐ টাকা অবস্থানুসারে মাসে মাসে কিছু কিছু সাহায্য করা ভালে ?” ইহা শুনিয়া জননীদেবী উত্তর করেন, “গ্রামের দরিদ্র নিরুপায় লোক _ - _ _ • नरशमङ्ग भन्नुष्क बिनाब्रङ्ग अनौठ বিদ্যাসাগরজীবনচরিত্ন