& 8 চারিত্রপুঞ্জ অপেক্ষ অনেক বড়ো ছিলেন ; কিন্তু এই সাদৃপ্ত অন্তরের সরল, প্রবল এবং অকৃত্রিম মনুষ্যত্বে। জনসনও বিদ্যাসাগরের ন্তায় বাহিরে রূঢ় ও অস্তরে মুকোমল ছিলেন ; জনসনও পাণ্ডিত্যে অসামান্ত, বাক্যালাপে স্বরসিক, ক্রোধে উদ্দীপ্ত, দেহরসে আর্দ্র, মতে নিৰ্ভীক, হৃদয়ভাবে অকপট এবং পরহিতৈষায় আত্মবিস্তৃত ছিলেন। দুর্বিষহ দারিদ্র্যও মুহূৰ্ত্তকালের জন্য র্তাহার আত্মসম্মান আচ্ছন্ন করিতে পারে নাই। সুবিখ্যাত ইংরেজিলেখক লেসলি ষ্ট্রীফন জনসন সম্বন্ধে যাহা বলিয়াছেন, তাহার কিয়দংশ অনুবাদ করিয়া দিলাম। “মতের পরিবর্তে কেবল কথামাত্রদ্বারা তাহাকে ভূলাইবার জো ছিল না, এবং তিনি এমন কোনো মতবাদও গ্রাহ করিতেন না,—যাহ। অকৃত্রিম-আবেগ-উৎপাদনে অক্ষম। ইহা ব্যতীত তাহার হৃদয়বৃত্তিসকল যেমন অকৃত্রিম, তেমনি গভীর এবং স্বকোমল ছিল। র্তাহার বৃদ্ধ এবং কুত্ৰ স্ত্রীর প্রতি তাহার প্রেম কী পবিত্র ছিল। যেখানে কিছুমাত্র উপকারে লাগিত, সেখানে তাহার করুণা কিরূপ সবেগে অগ্রসর হইত, “গ্রাবৃন্ত্রীটে”র সর্বপ্রকার প্রলোভন হইতে তিনি কিরূপ পুরুষোচিত আত্মসন্মানের সহিত সন্ত্রমরক্ষা করিয়াছিলেন, সে সব কথার পুনরুল্লেখের প্রয়োজন নাই। কিন্তু বোধ করি, এ সকল গুণের একান্ত দুর্লভত৷ সম্বন্ধে মনোযোগ আকর্ষণ করা ভালো। বোধ হয় অনেকেই আপন পিতাকে ভালোবাসে ; সৌভাগ্যক্রমে তাহ সত্য ; কিন্তু ক'টা লোক আছে, যাহার পিতৃভক্তি ক্ষ্যাপামি-অপবাদের আশঙ্কা অতিক্রম করিতে পারে ? কয়জন আছেন, যাহারা বহুদিনগত এক অবাধ্যতাঅপরাধের প্রায়শ্চিত্তসাধনের জন্ত যুটকৃসিটারের হাটে পিতার মৃত্যুর বহুবৎসর পরেও যাত্রা করিতে পারেন ? সমাজত্যক্তা রমণী পথপ্রাস্তে নিরাশ্রয়ভাবে পড়িয়া আছে দেখিলে আমাদের অনেকেরই মনে ক্ষণিক
