পাতা:চারিত্রপুজা ২য় সংস্করণ.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত পথিক রামমোহন রায় ●》 প্রবেশের পথ নেই। একে বিন্দ্রপ করা যায় কিন্তু বিচার করা যায় না, কেননা এ থাকে সকল যুক্তির বাহিরে। তেমনি ছিল অর্থহারা আচারের স্বপ্লজালে জড়িত ভারতবর্ষ, তার আলো এসেছিল নিবে । তার আপনার কাছে আপন সত্য পরিচয় ছিল আচ্ছন্ন। এমন সময় রামমোহন রায়ের আবির্ভাব হোলো এই দেশে, সেই আত্মবিস্তৃত প্রদোষের অন্ধকারে। সেদিন তার ইতিহাস আগৌরবের কালিমায় আবৃত। ভারত আপন বাণী তখন হারিয়েছে, নিখিল পৃথিবীর এই নূতন কালের জন্তে তার কোনো বাৰ্ত্ত নেই, ঘরের কোণে ব’লে সে সে মৃত যুগের মন্ত্র জপ করছে। যখন সে আপন দুৰ্ব্বলতায় অভিভূত সেই অপমানের দিনে বাইরের লোক এল তার দ্বারে ; আপন সম্মান রক্ষা ক'রে তাকে অভ্যর্থনা করবে এমন আয়োজন ছিল না ; অতিথিরূপে তাকে গৃহস্বামী ডাকৃতে পারেনি, দ্বার ভেঙে দস্যরূপে সে প্রবেশ করলে তার স্বর্ণভাণ্ডারে । ভারতের চিত্ত সেদিন মনের অন্ন নূতন ক’রে উৎপাদন করতে পারছিল না, তার ক্ষেত ভরা ছিল আগাছার জঙ্গলে । সেই অজন্মার দিনে রামমোহন রায় জন্মেছিলেন সত্যের ক্ষুধা নিয়ে । ইতিহাসের প্রাণহীন আবর্জনায়, বাহবিধির কৃত্রিমতায় কিছুতে তাকে তৃপ্ত করতে পারলে না। কোথা থেকে তিনি নিয়ে এলেন সেই জ্ঞানের আগ্রহে স্বভাবত উংস্থক মন, যা সম্প্রদায়ের বিচিত্র বেড়া ভেঙে বেরলো, চারিদিকের মানুষ যা নিয়ে ভুলে আছে তাতে যার বিতৃষ্ণ হোলো। সে চাইল মোহমুক্ত বুদ্ধির সেই অবারিত আশ্রয় যেখানে সকল মানুষের মিলনতীর্থ। * এই বেড়াভাঙার সাধনাই যথার্থ ভারতবর্ষের, মিলনতীর্থকে উদঘাটিত -করা । এই জন্তেই এ সাধনা বিশেষভাবে ভারতবর্ষের, যেহেতু এর