বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চারিত্রপুজা ২য় সংস্করণ.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓዪይ চারিত্রপূজা ভারতবর্ষে রামমোহন রায়ের যারা পূর্ববর্তী ছিলেন তাদের মধ্যে অন্ততম কবীর নিজেকে বলেছিলেন ভারতপথিক। ভারতকে তিনি দেখতে পেয়েছিলেন মহাপথরূপে। এই পথে ইতিহাসের আদিকাল থেকে চলমান মানবের ধারা প্রবাহিত । এই পথে স্মরণাতীত কালে এসেছিল যারা, তাদের চিহ্ন ভূগর্ভে। এই পথে এসেছিল হোমাগ্নি বহন ক’রে আর্য্যজাতি। এই পথে একদা এসেছিল মুক্তিতত্বের আশায় চীনদেশ থেকে তীর্থযাত্রী। আবার কেউ এসেছে সাম্রাজ্যের লোভে, কেউ এল অর্থকামনায়। সবাই পেয়েছে আতিথ্য । এ ভারতে পথের সাধন, পৃথিবীর সকল দেশের সঙ্গে যাওয়া আসার নেওয়া দেওয়ার সম্বন্ধ, এখানে সকলের সঙ্গে মেলবার সমস্ত সমাধান করতে হবে । এই সমস্তার সমাধান যতক্ষণ না হয়েছে ততক্ষণ আমাদের দুঃখের অস্ত নেই। এই মিলনের সত্য সমস্ত মানুষের চরম সত্য, এই সত্যকে আমাদের ইতিহাসে অঙ্গীভূত করতে হবে । রামমোহন রায় ভারতের এই পথের চৌমাথায় এসে দাড়িয়েছিলেন, ভারতের যা সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ দান তাই নিয়ে। র্তার হৃদয় ছিল ভারতের হৃদয়ের প্রতীক—সেখানে হিন্দু মুসলমান খৃষ্টান সকলে মিলেছিল তাদের শ্রেষ্ঠ সত্তায়,—সেই মেলবার আসন ছিল ভারতের মহা ঐক্যতত্ত্ব, একমেবাদ্বিতীয়ং । আধুনিক যুগে মানবের ঐক্যবাণী যিনি বহন করে এনেছেন, তারই প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ভারতের আধুনিক কৰি ভারতপথের যে গান গেয়েছে তাই উদ্ধৃত ক’রে রামমোহনের প্রশস্তি শেষ করি :– হে মোর চিত্ত পুণ্যতীর্থে জাগে রে ধীরে এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে।

sk

3. :* tश्श ७कशिन दिब्रांभविशैन भश ७कांब्रक्ष्यनि, হৃদয়তন্ত্রে একের মন্ত্রে উঠেছিল রণরণি ।