বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চারিত্রপুজা ২য় সংস্করণ.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চারিত্রপূজা * مه مرة নিয়ে, সেই বহুদূর পরিব্যাপ্ত সম্পর্কিত মণ্ডলীর সঙ্গে তাকে সংস্পর্শে আসতে হোত। আমি ঠিক জানিনে অবশু, তবে নিশ্চিত অনুভব করতে পারি যে, এই আর্থিক প্রতিপত্তি ও সামাজিক সমারোহের মধ্যেও তিনি সেই উপনিষদবর্ণিত একক পুরুষের মতো বৃক্ষের স্তন্ধ নিঃসঙ্গত। রক্ষা ক’রে চলতেন। দ্বারকানাথ ঠাকুরের তৎকালীন বিপুল ঐশ্বৰ্য্যের আমরা যথাযথ ধারণাই করতে পারি না, পিতৃদেবের মুখে শুনেছি যে পিতামহ যখন বিলাতে অবস্থান করতেন তখন মাসিক তাকে লক্ষাধিক টাকা পাঠানো হোত। পিতামহের মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই প্রকাও এক ভূমিকম্পের ফলে যেন সেই বিরাট ঐশ্বৰ্য্য এক মুহুর্তে ধূলিসাং হয়ে গেল। সেই সঙ্কটের মধ্যেও পিতৃদেব অবিচলিত—বৃক্ষ ইব স্তব্ধ:- তখন তিনি মন্ত্র গ্রহণ করেছেন, হয়তো তখনই সম্যক উপলব্ধি করতে পারলেন, উপনিষদ যে মহৎ বাণী প্রচার ক’রে গেছেন— ঈশাবাস্তমিদং সৰ্ব্বং যৎ কিঞ্চ জগত্যাং জগৎ । আমার অভিজ্ঞতার মধ্যেই দেখেছি, অনেক শোকাবহ ব্যাপারে, আত্মীয়-স্বজনের বিয়োগ বিচ্ছেদে তিনি তার সেই তেতালার ঘরে আত্মসমাহিত হয়ে একা বসে আছেন। কেউ সাহস করত না তাকে সাম্বন দিতে। বাইরের আমুকুল্যের তিনি কোনোও দিন অপেক্ষ রাখেন নি ; আপনি আপনার মধ্যে আনন্দ পেতেন । আমার যখন উপনয়ন হোলো, দশ বছর বয়সে—মুণ্ডিত কেশ, তার জন্ত একটু লজ্জিত ছিলেম—তিনি হঠাৎ আমায় ডেকে বললেন, *হিমালয়ে যেতে ইচ্ছে করো ?” আমার তখনকার কী আনন্দ, বলবার ভাষা নেই। সেকালে লুপ-লাইনটাই ছিল মেন লাইন—রাস্তায় আমাদের প্রথম বিরামের জায়গা হোলো শান্তিনিকেতন। সে জায়গার সঙ্গে এখনকার এ জায়গার অনেক তফাৎ, ধুধু করছে প্রান্তর খামল