মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর brసి সরোবর ভূতলে থাকিয়া জলদান করে—যদিও দানের সামগ্রী একই, তথাপি এই পার্থক্যবশতই মেঘ আপন প্রকৃতি অনুসারে বিশেষভাবে ধন্ত এবং সরোবরও আপন প্রকৃতি অনুসারে বিশেষভাবে কৃতার্থ। ইহারা উভয়ে এক হইয়া গেলে জলের পরিমাণ মোটের উপর কমে না, কিন্তু জগতে ক্ষতির কারণ ঘটে । তরুণ ব্রাহ্মসমাজ যখন পাশ্চাত্যশিক্ষার প্রভাবে এই কথা ভুলিয়াছিল, যখন ধৰ্ম্মের স্বদেশীয়রূপ রক্ষা করাকে সে সঙ্কীর্ণতা বলিয়া জ্ঞান করিত— যখন সে মনে করিয়াছিল, বিদেশীয় ইতিহাসের ফল ভারতবর্ষীয় শাখায় ফলাইয়া তোল সম্ভবপর এবং সেই চেষ্টাতেই যথার্থভাবে ঔদার্য্য-রক্ষা হয়, তখন পিতৃদেব সাৰ্ব্বভৌমিক ধৰ্ম্মের স্বদেশীয় প্রকৃতিকে একটা বিমিশ্রিত একাকীরত্বের মধ্যে বিসর্জন দিতে অস্বীকার করিলেন –ইহাতে র্তাহার-অনুবৰ্ত্তী অসামান্তপ্রতিভাশালী ধৰ্ম্মোৎসাহী অনেক তেজস্বী যুবকের সহিত র্তাহার বিচ্ছেদ ঘটিল। এই বিচ্ছেদ স্বীকার করিতে যে দৃঢ়তা, যে সাহস, যে বলের প্রয়োজন হয়, সমস্ত মতামতের কথা বিস্তৃত হইয়া আজ তাহাই যেন আমরা স্মরণ করি। আধুনিক হিন্দুসমাজের প্রচলিত লোকাচারের প্রবল প্রতিকূলতার মুখে আপন অনুবৰ্ত্তী সমাজের ক্ষমতাশালী সহায়গণকে পরিত্যাগ করিয়া নিজেকে সকল দিক হইতেই রিক্ত করিতে কে পারে—যাহার অন্ত:করণ জগতের আদিশক্তির অক্ষয় নিৰ্বরধারায় অহরহ পূর্ণ হইয়া না উঠিতেছে। ইহাকে যেমন আমরা সম্পদে-বিপদে অভয় আশ্রয়ে অবিচলিত দেখিয়াছি—তেমনি একবার বর্তমান সমাজের প্রতিকূলে, আর একবার হিন্দুসমাজের অমুকুলে তাহাকে সত্যে-বিশ্বাসে দৃঢ় থাকিতে দেখিলাম— দেখিলাম, উপস্থিত গুরুতর ক্ষতির আশঙ্কা তাহাকে টলাইতে পারিল না। হিন্দুসমাজের মধ্যে তিনি পরম দুর্দিনেও একাকী দাড়াইয়াছিলেন, ব্রাহ্ম
