পাতা:চারিত্রপুজা ২য় সংস্করণ.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ఏ(t বে ধনপতির পুত্র নিজের চিরাভ্যাসকে খৰ্ব্ব করিয়া, খনিসমাজের প্রভূত প্রতিপত্তিকে তুচ্ছ করিয়া শান্তসংযত শৌর্য্যের সহিত এই স্ববৃহৎ পরিবারকে স্বন্ধে লইয়া দুঃসহ দুঃসময়ের বিরুদ্ধে যাত্রা করিয়াছেন ও জয়ী হইয়াছেন, তাহার সেই অসামান্ত বীৰ্য্য, সেই সংযম, সেই দৃঢ়চিত্তত, সেই প্রতিমুহূৰ্ত্তের ত্যাগস্বীকার আমরা মনের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে উপলব্ধিই বা করিব কী করিয়া এবং তদনুরূপ কৃতজ্ঞতাই বা কেমন করিয়া অনুভব করিব ! আমাদের অদ্যকার সমস্ত অন্ন-বস্ত্র-আশ্রয়ের পশ্চাতে র্তাহার সেই বিপত্তিতে অকম্পিত বলিষ্ঠ দক্ষিণহস্ত ও সেই হস্তের মঙ্গল আশিসৃস্পর্শ আমরা যেন নিয়ত নম্রভাবে অনুভব করি । আমাদের সর্বপ্রকার অভাবমোচনের পক্ষে প্রচুর এই যে সম্পত্তি তিনি সম্পূর্ণ নিজের বলে রক্ষা করিয়াছেন, ইহা যদি অধৰ্ম্মের সহায়তায় ঘটিত, তবে অদ্য অন্তর্যামীর সন্মুখে সেই পিতার নিকটে শ্রদ্ধানিবেদন করিতে আমাদিগকে কুষ্ঠিত হইতে হইত। সৰ্ব্বাগ্রে তিনি ধৰ্ম্মকে রক্ষা করিয়া পরে তিনি ধনরক্ষা করিয়াছেন—অদ্য আমরা যাহা লাভ করিয়াছি, তাহার সহিত তিনি অসত্যের গ্লানি মিশ্রিত করিয়া দেন নাই-- আজ আমরা যাহা ভোগ করিতেছি, তাহাকে দেবতার প্রসাদস্বরূপ নিৰ্ম্মলচিত্তে নিঃসঙ্কোচে গ্রহণ করিবার অধিকারী হইয়াছি। সেই বিপদের দিনে তাহার বিষয়ী বন্ধুর অভাব ছিল না—তিনি ইচ্ছা করিলে হয় তো কৌশলপূৰ্ব্বক তাহার পূর্বসম্পত্তির বহুতর অংশ এমন করিয়া উদ্ধার করিতে পারিতেন যে, ধনগৌরবে বঙ্গীয় ধনীদের ঈর্ষাভাজন হইয়া থাকিতেন। তাহা করেন নাই বলিয়া আজ যেন আমরা তাহার নিকটে দ্বিগুণতর কৃতজ্ঞ হইতে পারি। ঘোর সঙ্কটের সময় একদিন তাহার সম্মুখে একইকালে শ্রেয়ের পথ ও প্রেয়ের পথ উদঘাটিত হইয়াছিল। তখন সৰ্ব্বস্ব হারাইবার সম্ভাবনা