পাতা:চারিত্রপূজা (১৯৩০) - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চারিত্রিপূজা ܘܠ করিলাম, টাকা আসিতেছে না কেন, এতে-বড়ো ঢাক পিটাইতেছি, টাকা আসিয়া পড়িতেছে না কেন, এতে-বড়ো, কাজ আরম্ভ করিলাম, অর্থাভাবে বন্ধ হইয়া যাইতেছে কেন ? বিলাত হইলে এমন হইত, তেমন হইত, হুহু করিয়া মুষলধারে টাকা বর্ষিত হইয়া যাইত,-কবে আমরা বিলাতের মত হইব ? বিলাতের আদর্শ আসিয়া • পৌছিয়াছে, বিলাতের অবস্থা এখনো বহুদূরে। বিলাতি মতের লজ্জা পাইয়াছি, কিন্তু সে লজ্জা নিবারণের বহুমূল্য বিলাতি বস্ত্ৰ এখনো পাই নাই। সকল দিকেই টানাটানি করিয়া মরিতেছি। এখন সৰ্বসাধারণে চাদ দিয়া যে সকল কাজের চেষ্টা করে, পূর্বে আমাদের দেশে ধনীরা তাহ একাকী করিতেন—তাহাতেই র্তাহাদের ধনের সার্থকতা ছিল। পূর্বেই বলিয়াছি, আমাদের দেশে সাধারণ গৃহস্থ সমাজকৃত্য শেষ করিয়া নিজের স্বাধীন ভোগের জন্য উদ্ধৃত্তি কিছুই পাইত না, সুতরাং অতিরিক্ত কোন কাজ না করিতে পারা তাহার পক্ষে লজার বিষয় ছিল না । যে সকল ধনীর ভাণ্ডারে উদ্ধৃত্তি অর্থ থাকিত, ইষ্টপূৰ্ত্তকাজের জন্য তাহদেরই উপর সমাজের সম্পূর্ণ দাবী থাকিত। তাহারা সাধারণের অভাবপূরণ করিবার জন্য ব্যয়সাধ্য মঙ্গলকাৰ্ম্মে প্ৰবৃত্ত না হইলে সকলের কাছে লাঞ্ছিত হইত-তাহাদের নামোচ্চারণও অশুভকরী বলিয়া গণ্য হইত। ঐশ্বৰ্য্যের আড়ম্বরই বিলাতি ধনীর প্রধান শোভা, মঙ্গলের আয়োজন ভারতের ধনীয় প্ৰধান শোভা । সমাজস্থ বন্ধুদিগকে বহুমূল্য পাত্রে বহুমূল্য ভোজ দিয়া বিলাতের ধনী তৃপ্ত, আহুত-রবাহুত-অনাহুতদিগকে কলার পাতায় অন্নদান করিয়া আমাদের ধনীরা তৃপ্ত। ঐশ্বৰ্য্যকে মঙ্গলদানের মধ্যে প্ৰকাশ করাই ভারতবর্ষের ঐশ্বৰ্য্য -ইহা নীতিশাস্ত্রের নীতিকথা নহে-আমাদের সমাজে ইহা এতোকাল পৰ্য্যন্ত প্ৰত্যহই ব্যক্ত হইয়াছে--সেইজন্যই সাধারণ গৃহস্থের কাছে আমাSDBD B BBB DDD DDD DDBD BDB BB BDBDBBD