পাতা:চারিত্রপূজা (১৯৩০) - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চারিত্রিপূজা ساسا | প্রাত্যহিক ব্যবহারোৎক্ষিপ্ত সমস্ত ধূলিরাশিকে অপসারিত করিয়া তাহাকে বৃহৎ আকাশের মধ্যে, নিৰ্ম্মল শান্তির মধ্যে, দেবপ্ৰসাদের অক্ষুন্ন আনন্দরশ্মির মধ্যে, তাহার যথার্থ মহিমায় তাহাকে তঁাহার জীবনের নিত্যপ্ৰতিষ্ঠার উপরে সমাসীন দেখিব। সংসারের আবৰ্ত্তে উদভ্ৰান্ত হইয়া যত বিদ্রোহ, যত চপলতা, যত অন্যায় করিয়াছি, আদ্য তাহার জন্য তাহার শ্ৰীচরণে একান্তচিত্তে ক্ষমাপ্রার্থনা করিব-আজ তাহাকে আমাদের সংসারের, আমাদের সর্বপ্রয়োজনের অতীত করিয়া তাহাকে বিশ্বভুবনের ও বিশ্বভুবনেশ্বরের সহিত বৃহৎ নিত্যসম্বন্ধে যুক্ত করিয়া দেখিব এবং তাহার নিকট এই আশীৰ্বাদ প্রার্থনা করিব যে, যে চিরজীবনের ধনকে তিনি নিজের জীবনের মধ্যে সঞ্চিত করিয়াছেন, সেই সঞ্চয়কেই যেন আমরা সর্বপ্রধান পৈতৃকসম্পত্তি বলিয়া গণ্য করি, তাহার জীবনের দৃষ্টান্ত যেন আমাদিগকে ধনসম্পদের অন্ধত হইতে রক্ষা করে, বিপদের বিভীষিকা হইতে উদ্ধার করে, বিশ্বাসের দৃঢ়তার মধ্যে আমাদিগকে ধারণ করিয়া রাখে এবং তিনি ঋষিদের যে মন্ত্র আমাদের কৰ্ণে ধ্বনিত করিয়াছেন, তাহা যেন কোনো আরামের জড়িত্বে, কোনো নৈরাশ্যের অবসাদে বিস্মৃত না হই 'भांश् अश्क निद्धांकूर्यTां भी भ! अभी निद्धांकब्र९ । অনির্যাকরণমস্তু অনির্যাকরণং মেহন্তু ।” বন্ধুগণ, ভ্রাতৃগণ, এই সপ্তাশীীতিবর্ষীয় জীবনের সম্মুখে দাড়াইয়া আনন্দিত হও, আশান্বিত হও । ইহা জান যে, ‘সত্যমেব জয়তে নামৃতম -ইহা জানি যে, ধৰ্ম্মই ধৰ্ম্মের সার্থকতা। ইহা জান যে, আমরা যাহাকে সম্পদ বলিয়া উন্মত্ত হই, তাহ সম্পদ নাহে ; যাহাকে বিপদ বলিয়া ভীত, হই, তাহা বিপদ নহে ; আমাদের অন্তরাত্মা সম্পদবিপদের অতীত যে পরমা, শাস্তি,তাহাকে আশ্রয় করিবার অধিকারী। ‘ভূম ত্বের বিজিজ্ঞাসিতব্যঃ”- সমস্ত জীবন দিয়া ভূমাকেই জানিতে ইচ্ছা করে,এবং সমস্ত জীবনের মধ্যে