3R চাঞ্ছনীতি পাঠ । শাখা ও পল্লব এবং তৃণাদি ভক্ষণ করিবার জন্য সে প্রস্তর হইতে প্রস্তরাস্তরে পদ বিক্ষেপ পূৰ্ব্বক পৰ্ব্বতে আরোহণ করিতে করিতে অবশেষে একটা দুরারোহ শিখরে আসিয। উপস্থিত হইল। সেই অত্যুচ্চ শৈল শিখরের পাশ্ব দিয়া একটা নিতান্ত সঙ্কীর্ণ পথ গিয়াছিল। এই পথে ছাগটী বিচরণ করিতে করিতে যেমন মোড় ফিরিতে যাইতেছে, অমনি সেই অপ্রশস্ত পথে ঠিক তাহার সন্মুখে, সে আর একটা ছাগকে দেখিতে পাইল । ঐ পথ একটা ছাগ যাইবার পক্ষেও প্রশস্ত ছিল না ; অতএব যদি একের পাশ্ব দিয়া অপরটা চলিয়া ষাইতে চেষ্টা করিত, উভয়কেই পৰ্ব্বত হইতে সুদূরে নিম্নে পড়িয়া বিনষ্ট হইতে হইত। এদিকে পশ্চাতে ফিরিবার তিলাৰ্দ্ধ স্থান ছিল না । এক্ষণে তাহার করে কি ? এইরূপ সঙ্কটে পড়িয়া দুইটী ছাগল পরস্পর পরস্পরের প্রতি দৃষ্টিপাত করিতেছে। কিছু দূর হইতে কোন পথিকের উহা দৃষ্টিগোচর হইল। সে নিকটস্থ গ্রামের লোকদিগকে সেই কৌতুকজনক দৃশ্য দেখাইবার জন্য দৌড়িয়া ডাকিতে গেল ! দেখিতে দেখিতে দলে দলে লোক আসিয়া জুটিল । দুইটা ছাগল প্রথমে পরস্পর কিয়ৎক্ষণ নিরীক্ষণ করিতে লাগিল । পরে একটা ছাগল সতর্কতার সহিত প্রথমে এক তৎপরে অন্য পদটি মুড়িয়া, পৰ্ব্বতের পাশ্ব ঘে সিয়া, পথের উপর গুইয়া পড়িল । তার পর অপর ছাগলট তাহার উপর দিয়া চলিয়া গেল। এইরূপে সেই সঙ্কট স্থান হইতে উত্তীর্ণ হইয়া উভয় ছাগ আবার যদৃচ্ছাক্রমে বিচরণ করিতে লাগিল । সমবেত গ্রামবাসিগণ সকলেই ছাগ দুটাকে নিরাপদ দেখিয়া মহোল্লাসে করতালি ধ্বনি করিলেন *
পাতা:চারুনীতি-পাঠ.djvu/২১
অবয়ব