१९ চাৰুনীতি পাঠ । তাহাকে ক্ষমা করিতে পারিতাম,কিন্তু আমার ভগ্নী কুন্দ ছেলেমানুষ,তাহার ক্ষতি করিল কেন ? কুন্দকে কেহ কষ্ট দিবে ইহা আমার অসহ্য”। দেবনাথ বলিল, “আচ্ছা তুমি যদি ভূপালের লাটিম ভাঙ্গিয়া দাও, তাহাহইলে তাঁহাকে কি কুন্দের প্রতি কি অপর কাহারও প্রতি সদয় বা ভদ্র ব্যবহার করিতে শিক্ষণ দেওয়া হইবে ? আমার পিতা সে দিবস বলিতেছিলেন, আমাদের প্রিয় জনের উপর কেহ অত্যাচার করিলে তাহাকে ভালবাসা বড়ই শক্ত, কিন্তু শক্ত হইলে কি হয় ? আমরা যদি পরমেশ্বরের নিকট হইতে দয়া পাইতে ইচ্ছা করি, তাহাহইলে আমাদের শক্রকেও ভালবাসা উচিত ৷’’ নলিন প্রায় র্কাদ কঁদি হইয়া বলিতে লাগিল “আমার মনে হইতেছে যেন আমি ভূপালকে ক্ষমা করি । ”—ইহ। শুনিয়া দেবনাথ বলিল, “ভাল, তোমার এই যে সদিচ্ছা হইয়াছে, তাহা যাহাতে থাকে তাহার জন্য একমনে পরমেশ্বরকে ডাক; যাহার ইচ্ছ। ভাল, ঈশ্বর তাহার সহায়” এই কথা বলিতে বলিতে দেবনাথ আপনার বাড়ী যাইবার পথের মোড়ে উপস্থিত হইল, অতএব নলিনকে বলিল, “এস ভাই এস, আমি আজ চলিলাম ।’’ নলিন একটাও কথা না বলিয়া ঘাড় নাড়িয়া কুন্দের সহিত ক্রমাগত চলিতে লাগিল । এদিকে কুন্দও পথপাৰ্শ্বস্থ ফুল, তুলিতে তুলিতে ক্লান্ত হইয়াছে, ভাইয়ের হাত ধরিয়া অবশেষে দুজনে গৃহে পেছিল। বাড়ী আসিয়াই কুন্দ মায়ের নিকট দোঁড়িয়া গেল এবং তাছাকে মাটির ভীড়ের কথা বলিতে লাগিল, কিন্তু নলিন খানিকক্ষণ
পাতা:চারুনীতি-পাঠ.djvu/৩১
অবয়ব