চাৰুনীতি পাঠ । ૨૭ স্বারের বাহিরে অপেক্ষা করিতেছিল। ইহার কারণ কি ? সেকি এখনও কেমন করিয়া ভূপালের লাঠিম নষ্ট করিবে-তাহ ভাবিতেছে ? না, কিরূপে সে নিজের রাগ থামাইবে তাহার জন্য ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করিতেছে । এই ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পরে নলিন এক দিন স্কুলে যাইতেছিল। সে দিন কুন্দ শর্দি হওয়াতে স্কুলে যাইতে পারে নাই। নলিন দূর হইতে শুনিল একটি বালক কাদিতেছে । নিকটে আসিয়া দেখিল সেই বালক আর কেহই নয়, আগেকার চেনা লোক—ভূপাল। নলিন জিজ্ঞাসা করিল, “কি হইয়াছে ?” ভূপাল মাথা তুলিয়া যখন দেখিল নলিন তাহাকে প্রশ্ন করিতেছে,তখন সে কিছু না বলিয়া অমনি মাথাটা নত করিল । নলিন পুনরায় মিষ্ট ভাবে জিজ্ঞাসা করিল, “ভূপাল তুমি কাদিতেছ কেন ? আমাকে বল তোমার কি হইয়াছে * নলিনের এই স্নেহের কথায় ভূপাল আর থাকিতে পারিল না, বলিল “আমি অতিশর ক্ষুধিত, মা আমার কাল সকাল হইতে জরে শয্যাগত অাছেন এবং আমি এপর্য্যন্ত খাই নাই।” নলিন বলিল, “ভাই! আহ, তুমি কাল অবধি খাও নাই, ক্ষুধিত ত হইবেই; দেখ আমার কাছে একখানা ভাল রুট আছে,আমি উহা তোমাকে দিতেছি।”ভূপাল বলিল,“এই রুট তোমার নিজেরই আবশ্যক হইবে,ইহা তোমার সকাল বেলাকার খাবার ” নলিন তাহ দুখান করিয়া ক্ষুদ্র এক খণ্ড আপনার জন্য রাখিয়া অপর খণ্ড ক্ষুধিত ভূপালের হাতে দিল। ভূপাল যদিও মাঝে মাঝে অত্যন্ত গোয়ার হইয়া উঠিত, তথাপি । তাহার স্বভাব নিতান্ত খল ছিল না । এই জন্য নলিনের এই
পাতা:চারুনীতি-পাঠ.djvu/৩২
অবয়ব