চাৰুনীতি পাঠ । R్స এন বলিল, “তবে তোমার কর্ণ ও হস্ত চক্ষুর কার্য্য করিয়া থাকে। কিন্তু আমার বোধ হয় তুমি পড়িতে পার না ? সুসেন বলিল, “তা কেমন করিয়া পারিব, আমি ত বর্ণ সকল দেখিতে পাই না ।” এন্ বলিল, “তবে তোমাকে যদি কেহ পড়িয়া শুনায় তাহ কি তুমি ভালবাস ? অামার পুস্তকে কত মনোহর গল্প আছে । খুড়ীমা, আমি কি কোন কোন দিন স্কুলের ছুটীর পর সে সকল সুসেনকে পড়িয়া শুনাইতে পারি? আমি নিশ্চয় জানি, “ন্যানীব্রাউন ও তাহার মেষশাবক,” “বসন্তঋতু” সম্বন্ধে কবিতা ইত্যাদি স্কুসেন শুনিলে কতই খুদী হইবে।” এনের খুড়ী এই কথা শুনিয়া বলিলেন, “বৎসে, তুমি যে এ প্রকার চিন্তা করিয়াছ, তাহাতে আমি অতিশয় সন্তুষ্ট হইয়াছি। জগতের রাশিপ্রমাণ দুঃখের একবিন্দুমাত্র হ্রাস করিতে পারিলেও আমাদের জীবন কৃতার্থ হয়। যদি একটী মুখের কথায় কোন তাপিত প্রাণকে আমরা শীতল করিতে পারি, যদি কাতর ও বিষগ্ন জনের চিত্ত কথাপ্রসঙ্গে অল্পমাত্রও বিনোদন করিতে পারি, যদি পীড়িতের নিকট বসিয়। সেবা শুশ্রীষা দ্বারা তাহার আরোগ্য লাভের সাহায্য করিতে পারি,এইরূপ জগতের মঙ্গলের জন্য যদি প্রাণ উৎসর্গ করিতে পারি, তাহা হইলে আমাদের জীবন দেবভাবাপন্ন ও মধুময় হয় ।” এন ও তাহার খুড়ীম সে দিন সুসেন ও তাহার ঠাকুরমার নিকট হইতে বিদায় গ্ৰহণানন্তর সময়ান্তরে অসিয়া পুনৰ্ব্বার সাক্ষাৎ করিব বলিয়া চলিয়াগেলেন। পথে যাইতে যাইতে
পাতা:চারুনীতি-পাঠ.djvu/৩৮
অবয়ব