চকনীতি পাঠ । \א0ט সত্যের উপর নির্ভর করিয়া যাহাঁদের জীবন সৎকার্য্যে নিয়োজিত হইয়াছে ও র্যাহারা অন্তরে সাধু সঙ্কল্প পোষণ করেন, র্তাহাদের নিরুদ্যম হইবার কোন কারণ নাই, তাহারা নিশ্চয়ই সফল মনোরথ হইবেন । মনোযোগ সাধন । মহাভারতে কথিত আছে যে, দ্রোণাচাৰ্য্য যুধিষ্ঠিরাদি রাজকুমারগণের অস্ত্রশিক্ষাপরীক্ষার্থ তাহাদের অজ্ঞাতসারে কোন সুনিপুণ শিল্পী দ্বারা এক কৃত্রিম পক্ষী নিৰ্ম্মাণ করাইয়া বৃক্ষের অগ্র শাখায় আরোপিত করেন। ঐ লক্ষ্যের শিরশ্বেদন করিয়া ভূতলে পাতিত করিতে পারিলেই শিষ্যগণের পারদর্শিত। প্রমাণিত হইবে। প্রথমে, ধৰ্ম্মরাজ বুধিষ্ঠির আচাৰ্য্যের নিদেশানুসারে লক্ষ্যকে উদ্দেশ করিয়া দণ্ডায়মান রহিলেন ; “ লক্ষ্যবিদ্ধ কর * এই বাক্যের অবসান না হইতে হইতেই শরসন্ধান করিতে হইবে। তখন দ্রোণাচাৰ্য্য কহিলেন,—“তুমি বৃক্ষের অগ্র শাখায় ঐ শকুন্তকে নিরীক্ষণ কর ”—যুধিষ্ঠির প্রত্যুত্তর করিলেন, “ ই আমি দেখিতেছি ”। আচাৰ্য্য পুনরায় বলিলেন, “ এখন তুমি কি দেখিতেছ? ” যুধিষ্ঠির বলিলেন, “ কেন, আমি সমীপবৰ্ত্তী বৃক্ষকে, আপনাকে, আমার ভ্রাতৃগণকে ও বুক্ষস্থিত পক্ষীকে বারম্বার নিরীক্ষণ করিতেছি ” এই কথা শুনিয়া আচাৰ্য্য অপ্রসন্ন মনে যুধিষ্ঠিরকে বলিলেন, “ তুমি এই লক্ষ্য বিদ্ধ করিতে পরিবে না।
পাতা:চারুনীতি-পাঠ.djvu/৪৪
অবয়ব