Vうlゲ চাৰুনীতি পাঠ । মনের এই প্রকার প্রকৃতি হেতু, কোন বিষয়ের পুঙ্গানুপুঙ্ক জ্ঞান লাভ করিতে হইলে আমাদের সেই বিষয়ের প্রতি অবিভক্ত মনোযোগ দেওয়া আবশুক । এইরূপে ষিনি বিষয়াস্তর হইতে মন প্রত্যাহার করিয়া কোনও নির্দিষ্ট বিষয়ে দীঘ কাল অভিনিবেশ করিতে পারেন, তিনি সেই বিষয়ে সহজে অধিক জ্ঞান লাভ করিতে সক্ষম হন । অপরস্তু যাহার মনের একাগ্রতা নাই, কেবল বিষয় হইতে বিষয়াস্তরে ঘtহার মন নিয়ত পরিভ্রমণ করে,তিনি কখনও তাদৃশ ফল লাভ করিতে সক্ষম হন না । মনঃ সংযোগের এই প্রকার তারতম্য প্রযুক্ত জ্ঞানের বৈষম্য ঘটিয়া থাকে। বিদ্যালয়ের ছাত্রদিগের প্রতি দৃষ্টিপাত করিলে ইহার সত্যত উপলব্ধি হইবে ; যে ছাত্র অধিক পরিমাণে পাঠের প্রতি মনোনিবেশ করিতে শিখিয়াছে, সে অতি অল্প সময়ের মধ্যে ও অনায়াসে পাঠ আয়ত্ত করিতে পারে, কিন্তু অনাবিষ্ট ছাত্র সেরূপ কখনই পারে না । এক্ষণে, মনোযোগ সাধনের দুই একটা উপায় নিদিষ্ট হইতেছে :– ১ম । যাহার যে বিষয়ের প্রতি তাকুরাগ আছে, র্তাহার সেই বিষয়ের প্রতি মনঃসংযোগ হওয়া স্বাভাবিক। ক্রীড়াসক্ত বালকের মনে ক্রীড়ার বস্তু যেমন স্থান পায়,পাঠ্যপুস্তক অথবা শিক্ষা সংক্রান্ত অন্য বিষয় তাদৃশ স্থান পায় না। অতএব প্রথম উপায়, অবলম্বিত বিষয়ের প্রতি অনুরাগ স্থাপনের চেষ্টা । ইহা করিতে হইলে মনের দৃঢ়তা আবশ্যক। একবার লক্ষ্য স্থির করিয়৷ যদি তাহ সিদ্ধ করিবার জন্য নিদিষ্ট সময়ে চেষ্টা করা যায়,প্রথম প্রথম এই সাধন কিয়ৎপরিমাণে কষ্টকর হইলেও সময়ে সুখকর
পাতা:চারুনীতি-পাঠ.djvu/৪৭
অবয়ব