চাৰুনীতি পাঠ । BS সমকালবৰ্ত্তী কত শত নৃপতি ছিলেন, কিন্তু আজি তাহার। কোথায় ? জগতে কি তাহীদের নাম ঘোষিত হইতেছে-? সভ্যসমাজের ইতিহাসে হয় ত তাহীদের নাম লিখিত থাকিতে পারে, কিন্তু জগৎ কি কোন কালে র্তাহীদের স্মৃতি প্রিয় ও প্রয়েtজনীয় বোধে বিস্মৃতির অতলজল হইতে উদ্ধার করিতে যত্নবান হইয়াছে ? বাস্তবিক জ্ঞান ভিন্ন আর কিছুই মনুষ্যকে অমর জীবন প্রদান করিতে পারে না । সলোমনের কথা পরিত্যাগ করিয়া এক্ষণে জ্ঞানের প্রকৃতি ও অন্যান্য উপকারিত আলোচনা করা যাউক । বহির্জগতে স্বৰ্য্য প্রভৃতি জ্যোতিঃ পদার্থ যে প্রকার জগতের যাবতীয় অন্ধকার বিদূরিত করিয়া দেয়, অন্তর্জগতে জ্ঞানজ্যোতিঃ ও সেইরূপ সকল প্রকার ভ্ৰমান্ধকার তিরোহিত করে। রাত্রিকালে যখন ধরা অন্ধকারাবৃত হর, তখন যেমন কোন বস্তু সুস্পষ্টরূপে দেখিতে পাওয়া যায় না, এবং এক বস্তুকে অপর বস্তু বলিয়া ভ্রম হর, সেইরূপ অন্তর্জগতে জ্ঞানালোকের অভাবে সত্য নির্ণয় কয়। হুঙ্কর এবং অসম্ভব হইয়া পড়ে। প্রকৃততত্ত্বে কোন বিষয় দশন বা অনুচিন্তন করিতে হইলে এই আলোক বা জ্ঞানই একমাত্র সহায় । জ্ঞান অঞ্জনের ন্যার চক্ষুর দশন শক্তি বৰ্দ্ধিত করে। অজ্ঞানীর চক্ষু যেখানে স্থল বহিরাকার দেখিয়া প্রতিনিবৃত্ত হয়, জ্ঞানীর নেত্র সেই স্থল বহিরাবরণ ভেদ করিয়া স্বল্প ও নিগৃঢ়ভাবে সেখানে প্রবেশ করে। অজ্ঞানীর পক্ষে যে স্থান শূন্য, জ্ঞানীর পক্ষে সেই স্থান পূর্ণ। জ্ঞান আলোকের ম্যায় আমাদের জীবনপথের প্রদর্শক হয়; জ্ঞান জামাদিগকে ফুৰ্জয় বলে বলীয়ান করে, জীবনসংগ্রামে ইহাই আমাদের
পাতা:চারুনীতি-পাঠ.djvu/৫০
অবয়ব