চাৰুনীতি পাঠ । 80 একমাত্র ভূমা পরমেশ্বর ভিন্ন আর কেহই মিটাইতে পারেন না । ক্ষুদ্র শিশুর মনে যখন জ্ঞানের ক্রমিক বিকাশ হইতে থাকে, তাহার গতি অনুসরণ করা কেমন সুখকর । শিশু জিজ্ঞাসু इङ्गे। যখন জনক কি জননীর বক্ষে উঠিয়া “এটা কি” “ওটা কি ? প্রভৃতি মধুমাখা প্রশ্ন করিতে থাকে তাহা কি মধুর। শিশুর ইন্দ্রিয়গোচর জগতের তাবৎ পদার্থ অভিনব, সেই জন্যই স্বভাবতঃ সে ঐরূপ প্রশ্ন করে। ধন্য সেই দেশ যেখানে শিশু তাহার প্রশ্নের সদুত্তর প্রাপ্ত হইয়া অনুদিন বয়সে ও জ্ঞানে পরিবৰ্দ্ধিত হইতে থাকে। এইরূপে শিশু বয়োবৃদ্ধি সহকারে প্রকৃতি ও লোকসঙ্গ হইতে বিস্তর জ্ঞানেপোর্জন করিতে থাকে । উন্নতিপ্রাপ্ত সভ্য সমাজে জ্ঞানলাভ করিবার আর একটা প্রকৃষ্ট উপায় প্রচলিত আছে, যাহা উপরে “গ্রন্থসঙ্গ* নামে অভিহিত হইয়াছে। চিন্তাশীল জ্ঞানীগণ প্রকৃতিকে পৰ্য্যালোচনা করিরা এবং লোক চরিত্র অবগত হইয়া যে পুস্তক রচনা করেন, তাহা পাঠ করিলে যে জ্ঞান লাভ হইবে তাহ। বলা বাহুল্য। গ্রন্থসঙ্গ যে বিদ্যালাভের অমোঘ সহায় ইহা প্রতিপন্ন করিবার আবশ্যকতা নাই, কারণ ইহা এতদূর প্রমাণিত হইয়াছে যে অনেকেই মনে করেন যে গ্রন্থ পাঠ ভিন্ন শিক্ষা রাজ্যে প্রবেশ করিবার অন্য পথ নাই। র্তাহীদের এতদূর বিশ্বাস, যিনি এই পথ অনুসরণ না করেন তিনি “ বিদ্বান * নামের যোগ্য নহেন। কিন্তু সামান্য বিচার করিলে ইহা দৃষ্ট হইবে যে শিক্ষার পক্ষে গ্রন্থ এক অত্যাবশ্যক উপায় বন্টু, কিন্তু এক মাত্র উপায় কখনই নহে। জনসমাজ ও
পাতা:চারুনীতি-পাঠ.djvu/৫২
অবয়ব