চাৰুনীতি পাঠ। ፅ Š তোমাকে দেখিয়া বোধ হয় ধনোপার্জন করাই যেন জীবনের এক মাত্র কার্য্য, বাস্তবিক কি তাই ? ধনীর উত্তর।–“আহা ! তাহাতে কি আর সন্দেহ আছে, যার ঘরে ধন আছে তার কি না আছে ? সকল প্রকার সুখ ও আমোদ লাভের ধনই এক মাত্র উপায় ৷ ” ইত্যাকার ধনের অনেক মহিমা শুনিয়া আমি চিন্তা করিলাম ধনী যাহা বলিল তাহা কি সত্য ? যশোলিপ্ত র প্রতি –ভাই! তোমার জীবনের উদেশ্য কি ? দেখিতে পাই কেবল যশ পাইবার জন্য তুমি নানাবিধ উপায় অবলম্বন কর । আজি তুমি রাজ প্রসাদাকাজী হইয়া “ইডেন ব। অন্য কোন মহাপুরুষের “মেমোরিয়ালফণ্ডে ” সহস্ৰ সহস্ৰ মুদ্র দান কর, অথচ দেশীয় কোন সদনুষ্ঠানে তোমার হস্তমুষ্টি কখনও মুক্ত হয় না। কালি তুমি “টাউনহলে” ভোজ দিয়া ইংরাজ মহলে নাম কিনিতেছ, পরশ্ব তোমার এক জন নিতান্ত আত্মীয় অন্ন বস্ত্রের অভাবে তোমার দ্বারস্থ হইয়াও সাহায্য প্রাপ্ত না হইয়া ফিরিয়া যাইতেছে, সম্বাদ পত্রের স্তস্তে তোমার নাম দেশ বিদেশে কীর্তিত হয়, কিন্তু তোমার নিবাস পল্লিতে তোমার ভয়ে ‘প্রকাশ্যে না হউক—অপ্রকাশ্যে, ' তোমার কত অপযশঃ কীৰ্ত্তিত হয়। কখন বা পুজাদি উপলক্ষে । থিয়েটার, যাত্রা, বাইনাচ দিয়া মহা ধুমধাম কর। তোমাকে দেখিয়া বোধ হয় বেন তুমি যশোলাভ কুরিবার জন্য লালারিত। ৰাস্তবিক যশ উপার্জন করাই কি তোমার জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য ? শৈান্ত্রিপুর উত্তর –“মাহ ! তাহাতে কি মীর সন্দেহ
পাতা:চারুনীতি-পাঠ.djvu/৬০
অবয়ব