বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চারুনীতি-পাঠ.djvu/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 8 চাৰুনীতি পাঠ । থাকিয়া আমাকে ধন সংগ্ৰহ করিতে হইবে, কিন্তু ধনেপঞ্জান করা আমার জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য হইতে পারে না, কিন্তু উদ্দেশ্য সিদ্ধির উপায় স্বরূপ হইবে । এক্ষণে সেই উদ্দেশ্য কি ? না সেই পরমেশ্বল্প রূপ পরম ধনকে লাভ করা । সেই অক্ষয় ধনোপাজ্জ মই আমার জীবনের উদেশ্য হইতে পারে। বাস্তবিক পৃথিবীর ক্ষয়শীল ধন পাইয়া আমার আত্মার অনন্ত অর্জনস্পৃহ নিবৃত্ত হর না । পরমেশ্বর রূপ পরম ধনই আমার প্রাণের দারুণ পিপাসা নিবৃত্ত করিতে সক্ষম । এই স্বৰ্গীয় ধন লইয়া আমাকে পৃথিবীর ধনীদিগের ন্যার উদ্বেগভারে প্রপীড়িত হইতে হইবে না। আমি সচ্ছন্দে বিচরণ করিয়া বেড়াইব, কারণ এই ধন এমনই আশ্চৰ্য্য যে ইহা সৰ্ব্বদ সৰ্ব্বত্র সঙ্গে সঙ্গে থাকিতে পারে। এই অমূল্য ধনের আধার আমার এই হৃদয়। তাই সাধু ভক্তগণ পৃথিবীর ধূলিসম ধন তুচ্ছ করিয়া ঈশ্বরকে প্রিয়তম হৃদয়ধন বলিয়া থাকেন । তাই তাহারা যখন এই পরম ধনকে বিষয় ঘোরে হারাইয়া ফেলেন তখন র্তাহারা ব্যাকুল হইয়া হাহাকার করিতে থাকেন। তাই র্তাহtয় সংসারের সর্বস্ব ছাড়িয়া, বিষয় বিভব, স্ত্রী পুত্র, সকলের মমতায় জলাঞ্জলি দিয়া, কেহ বা গভীর অরণ্য মাঝে, কেহ বা পৰ্ব্বতকন্দরে, কেহ বা প্রকৃতির ক্রোড়স্থ পর্ণকুটীরে যোগধ্যানে রত থাকেন । দ্বিতীয়তঃ, দেখা যাউক যশোলাভ আমার জীবনের উদ্দেশ্য হইতে পারে কি না ? বিtার করা যাউক যশ কি প্রকর ইহা মুখের বায়ু মাত্র, উচ্চারিত হইবামাত্র আকাশে–পূন্যে বিলীন হইয়া যায়। যে যশ এত শূন্যগর্ত, যাহা এত 零 轰