চাৰুনীতি পাঠ । ట} আমরা আজিও কত গৌরব করিয়া থাকি। কিন্তু আধুনিক ভারতের প্রতি একবার দৃষ্টিপাত করুন। কয়জন এই প্রকার রমণী ও পুত্র দেখিতে পাইবেন ? গ্রেকাই-জননী কর্ণেলিয়া ও তাহার পুত্রসংক্রান্ত পূৰ্ব্বোক্ত ঘটন কয়ট আপনার চক্ষে পতিত হইবে ? কয়জন রমণী পার্থিব মণিমুক্তাদি রত্ন অগ্রাহ্য করিয়া গ্রেকাইদিগের মত পুত্রের মূল্য বুঝিয় তাহাদিগকে স্বাদর ও গৌরব করিয়া থাকেন ? স্পার্টান ও রাজপুতরমণীগণ স্বহস্তে সন্তানগণকে সমরসাজ পরাইয়। ভীষণ সমরক্ষেত্রে পাঠাইয়া দিতেন । আজ ভারতের কয়জন রমণী এই মহান দৃষ্টাস্তের অনুসরণ করিতে পারেন? যে দেশের অধিকাংশ লোক ঘোর অজ্ঞানান্ধকারে আচ্ছন্ন ; অশন বসন প্রভৃতি সহজে জুটিলে যাহারা সুখে নিদ্রা যাইতে পারে, দেশের প্রতি যে একটা কৰ্ত্তব্য আছে, এ জ্ঞান যাহাঁদের মধ্যে প্রস্ফুটিত হয় নাই ; যে দেশে শিক্ষিত কৃতবিদ্য বলিয়া যাহার পরিচিত, তাহীদের মধ্যেও অধিকাংশ ব্যক্তি সৎসাহসের ও নৈতিকবলের পরিচয় দিতে সক্ষম নহেন, কেহ কেহ আবার এতদূর অভিমানী যে অভিমানের পূজার অণুমাত্র ক্রটি হইলে, মাতৃভূমিরও প্রকৃত হিতকর কার্য্যে স্বতঃপরতঃ সততই কণ্টক নিক্ষেপ করিতে কুষ্ঠিত নহেন, স্বার্থপরতায় অন্ধ হইয়া সত্য ও ন্যায়ের মস্তকে পদাঘাত করিতেও পশ্চাৎপদ নহেন ; যে দেশে গ্রামে গ্রামে দলাদলির গণ্ডগোল ; যে দেশে কেশন জনহিতকর সমিতি ২৪ বৎসরও সস্তাবের সহিত মিলিত হুইয়া কাৰ্য্য করিতে পারে না ; যে দেশে দেশের অৰ্দ্ধেক বলস্বরূপ নুরজাতির অশেষ দুরবস্থা ; যে দেশে ধনকুবেরগণ ( هنا
পাতা:চারুনীতি-পাঠ.djvu/৭০
অবয়ব