বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চারুনীতি-পাঠ.djvu/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চাৰুনীতি পাঠ । ॐ* এই সকল অনিমেষ নয়নে দেখিবার জন্য কেন আমার মন প্রয়াসী ? ইহাদিগকে না দেখিলে আমার বাচিবার কি কোন ব্যাঘাত হয় ? না, তাহ নয়, তবে কেন আমার প্রাণ সে দৌন্দর্ঘ্যের অনুসরণ করে ? অপর দিকে কেন আমি কুৎসিত দৃশ্য দেখিতে ইচ্ছা না করি ?—কেন আমি শুষ্ক বৃন্ত, সোরভ বিহীন মান পত্র, কুসুম ও ফলহীন বৃক্ষ, পদ্মহীন সরোবর, শস্য হীন ক্ষেত্র, স্বৰ্য্য ও চন্দ্রমাবিহীন গগণ ইত্যাকার পদার্থ নিচয় দেখিতে ন চাই ? ইহার কারণ কি এই নহে যে সেই সকল পদার্থ সৌন্দৰ্য্য-রত্নহার হইয়াছে, তাই তাহার। নয়নানন্দকর নহে, তাই তাহার। আমার প্রাণকে আকর্ষণ করিতে পারে মা । এই পৰ্য্যন্ত যে সৌন্দর্ঘ্যের কথা হইল তাহ বাহ্য স্থল সৌন্দর্য, বাহ ইন্দ্রিরের গোচর, যাহা জগতের সমস্ত নরনারী অল্পাধিক পরিমাণে ভোগ করিতে পারে । কিন্তু আর এক প্রকার সৌন্দর্ঘ্য আছে যাহার প্রকৃতি সম্পূর্ণ বিভিন্ন, সে সৌন্দর্ঘ্য স্বক্ষ, নিগৃঢ় ও অতীন্দ্রির, স্বক্ষদর্শী সুশিক্ষিত হৃদয়বান লোক ভিন্ন অন্য কেহ সে সৌন্দৰ্য্যমুখ ভোগ করিতে সমর্থ নহে। সাধারণের চক্ষু বেখানে কেবল শূন্য দেখিয প্রতিনিবৃত্ত হয়, সে স্থল তিনি শোভাপূর্ণ দেখিয়া iব রাশিতে নিমগ্ন হন। সাধারণের চক্ষু যেখানে কিছুই দেখিতে না পাইয়া বা বস্তুর বাহ্য গঠুনাদি দেখিয়া ক্ষান্ত হয়, তিনি সেই বস্তুর বাহ্যাবয়ব ভেদ করিয়া তন্নিহিত অভ্যন্তরীণ নিগূঢ় সৌন্দৰ্য্য রাশিতে ডুবিয়া যান,কিম্বা সেই বস্তুকে উপলক্ষ করিয়া.ক্ষ্য শত শত চিন্তার প্রগাঢ়ন্ধপে অভিনিবেশ করেন।