বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চারুনীতি-পাঠ.djvu/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চাৰুনীতি পাঠ । לט এই সকল দেখিয়া বোধ হয় তাহার চেক্ষু যেন সাধারণ চক্ষু হইতে স্বতন্ত্রভাবে জগৎ দর্শন করিয়া থাকে। বাস্তবিক যাহারা সতত নিম্ন ভূমিতে বিচরণ করিতে ভাল বাসে, তাহার কেমন করিয়া স্বর্গের দুর্লভ শোভা দেখিতে পাইবে ? যে চক্ষু প্রকৃতির বহিরাবরণ ভেদ করিতে সক্ষম ন হইল, তাহার পক্ষে জগত্তের অৰ্দ্ধেকের অধিক সুখভাণ্ডার রুদ্ধ রছিল। যে চক্ষু সম্মুখে অভিনীত ঘটনার মধ্যে প্রবেশ করিয়া নিগূঢ় ভাব মনে উদ্দীপিত করিতে সমর্থ না হইল, সে চক্ষু স্থলদশী ভিন্ন আর কিছুই নহে। অশিক্ষিত চিন্তাবিহীনদিগের সমক্ষে এই সুচারু সুশৃঙ্খলাপূর্ণ জগৎ বিসদৃশ, শৃঙ্খলা বিহীন পদার্থপুঞ্জের সমাবেশ ভিন্ন আর কিছুই নহে, কিন্তু প্রকৃত ভাবুক যিনি, তিনি এই প্রকাণ্ড ব্রহ্মাণ্ডের প্রত্যেক পদার্থ ও ঘটনার মধ্যে এক নিগুঢ় শক্তি-অবিরোধে সুন্দরভাবে কাৰ্য্য করিতেছে দেখিয়া আশ্চর্য্যে পুলকিত হন। তিনি সকল বস্তু ও ঘটনার মধ্যে সৌন্দৰ্য্য দেখিতে পান। মানবের প্রকৃতি, চরিত্র, হৃদয়,মন ও আত্মার অনন্ত সৌন্দৰ্য্য দেখিয়া তিনি অবাক, য়াহই যান, তিনি উহাদিগের ভিতর এমন সৌন্দৰ্য্য দেখিতে পানবাহী কবিকল্পনার অগোচর, যাহা কোন চিত্রকর অঙ্কিত করিতে সমর্থ নহে, যাহা সকল প্রকার পার্থিব ভৌতিক সৌন্দৰ্য্যকে অতিক্রম করিয়া বিরাজ করে এবং যাহার কারণ অভৌতিক বলিয়া কেবলু অনুভবাত্মক—বর্ণনীয় নহে। গোলাপ বা পূর্ণিমার শশধর অসাধারণ সৌন্দর্ঘ্যে জগতের চক্ষু আকর্ষণ করিতে সক্ষম হয় বটে, কিন্তু গোলাপ বা চন্ত্রের সৌন্দৰ্য্য অপেক্ষা ধৰ্ম্মবীরদিগের অনলোপম উৎসাহ,