বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চারুনীতি-পাঠ.djvu/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চাৰুনীতিপাঠ । סף সকলকেই প্রতিনিবৃত্ত করিয়া বলিলেন, “মাধাইরে মেরৈছিস, কলসির কানা, তাই বলে কি প্রেম দিব না । এই অমানুষী উদার প্রীতির পরিচয়, যে প্রীতি বিশ্বময় পরিব্যাপ্ত, যাহা পাত্রাপাত্র ভেদ অপেক্ষা করে না, সত্য সত্যই জগতের চক্ষু চিরকাল আকৃষ্ট করিবে। আমরা রিপুপরবশ হইয়া কত সময় কত গহিত কাৰ্য্য করিয়া জীবনকে কলঙ্কিত করি, শত প্রতিজ্ঞ করিয়াও ইন্দ্রিয় দমন করিতে পারি না, কিন্তু র্তাহাদের ঈশ্বরামুরাগ এতদূর প্রবল ছিল, তাহীদের ধৰ্ম্মভাব এতদূর প্রগাঢ় ও স্বাভাবিক ছিল, যে র্তাহারা যে কেবল চেষ্টা করিয়া ইন্দ্রিয়গণকে বশীভূত রাখিতুন, পাপচিন্তা ও পাপকাৰ্য্য হইতে বিরত থাকিতেন তাহা নহে, কিন্তু সেই প্রকার চিন্তা ও আচরণ করা তাহাদের পক্ষে অসম্ভব হইয়াছিল। এই সকল মনীষীদিগের দৃষ্টান্ত পরিত্যাগ করিয়া অপেক্ষাকৃত সীমান্য জীবনের দুএকটা উল্লেখ করিলেও দেখিতে পাওয়া যায় যে আমাদের জীবন কত অসার । ঐ যে একজন দরিদ্র চৰ্ম্মকার পোর্টস মাউথ নগরে ছিন্নপাদুকা-সিবনকার্য্যে নিযুক্ত থাকিয়াও একটী ক্ষুদ্র গৃহের ক্ষুদ্র কুটীরে যে সকল বালক বালিকার পিতা মাতা বা অন্য কোন রক্ষক ছিল না, অথবা থাকিলেও যাহাদিগকে পরিত্যাগ করিয়াছিল, ধর্মযাজক বা রাজপুরুষেরা যাহাদিগের অনুসন্ধান লইতেন না, সংসারের বিলাসপরায়ণ ধনীগণ আত্মমুখভোগে রত থাকাতে যাহাঁদের তত্ত্ব লইবার অবকাশ পাইতেন না, সেই সকল অনাথ বালক বালিকাদিগকে সমবেত করিয়াপ্রত্যহ শিক্ষা প্রদান করিতেন ; নিজের সীমান্য অন্ন বস্ত্রের (• * )