বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চার অধ্যায় - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

দেখে যেন পুনশ্চ নিবেদনে বললে, সংকোচ বােধ করেন। তাে এক কাজ করুন, আমার বাক্সটা ওই আছে তুলে নিন, পরস্পর ঋণ শােধ হয়ে যাবে।—তুলতে হল। আমার কেসের চেয়ে সাতগুণ ভারি। হাতলটা ধরে ডান হাতে বাঁ হাতে বদল করতে করতে টলতে টলতে রেলগাড়ির থার্ডক্লাস কামরায় টেনে তুললেম। তখন সিল্কের জামা ঘামে ভিজে, নিশ্বাস দ্রুত, নিস্তব্ধ অট্টহাস্য তােমার মুখে। হয়তাে বা করুণা কোনাে একটা জায়গায় লুকোনাে ছিল, সেটা প্রকাশ করা অকর্তব্য মনে করেছিলে। সেদিন আমাকে মানুষ করবার মহৎ দায়িত্ব ছিল তােমারই হাতে।”

 “ছী ছী, বােলাে না, বােলাে না, মনে করতে লজ্জা বােধ হয়। কী ছিলুম তখন, কী বােকা, কী অদ্ভুত। তখন তুমি হাসি চেপে রাখতে বলেই আমার স্পর্ধা বেড়ে গিয়েছিল। সহ্য করেছিলে কী করে। মেয়েদের কি বুদ্ধি থাকবার কোন দরকার নেই।”

 “থাক্ বা না থাক্ তাতে তাে কিছু আসে যায়নি। সেদিন যে পরিবেষের মধ্যে আমার কাছে দেখা দিয়েছিলে সে তো হায়ার ম্যাথম্যাটিক্‌স্ নয়, লজিক্ নয়। সেটা যাকে বলে মােহ। শংকরাচার্যের মতাে মহামল্লও যার উপর মুদ্গরপাত করে একটু টোল খাওয়াতে

১০০