“কী হয়েছে তােমার অন্তু। কোন্ ক্ষোভের মুখে এ-সব কথা বলছ। তুমি কি বলতে চাও কর্তব্যকে কর্তব্য বলে মানা যায় না অরুচি কাটিয়ে দিয়েও।”
“রুচির কথা হচ্ছে না এলী, স্বভাবের কথা। শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বীরের কর্তব্যই করতে বলেছিলেন অত্যন্ত অরুচি সত্ত্বেও; কুরুক্ষেত্র চাষ করবার উদ্দেশে এগ্রিকালচারাল ইকনমিস্ চর্চা করতে বলেননি।”
“শ্রীকৃষ্ণ তােমাকে হলে কী বলতেন, অন্তু।”
“অনেকদিন আগেই কানে কানে বলে রেখেছেন। সেই তাঁর কানে-কানে কথাটাকে মুখ খুলে বলবার ভার ছিল আমার ’পরে। নির্বিচারে সবারই একই কর্তব্য, গুরুমশায় কানে ধরে এই কথাটা বলতেই এত কৃত্রিমতার সৃষ্টি হয়েছে। তােমাকে মুখের উপরই বলছি ওদের যে-পাড়ায় অহংকার করে নম্রতা করতে যাও সেখানে তােমারও জায়গা নেই। দেবী! সবাই দেবী তোমরা! নকল দেবীর কৃত্রিম সাজ, মেয়েদের অন্য সাজেরই মতাে, পুরুষ-দর্জির দোকানে বানানাে।”
“দেখাে অন্তু, আজও বুঝতে পারিনে যে-পথ তােমার নয়, সে-পথ থেকে কেন তুমি জোর করে ফিরে আসােনি।”
“তাহলে বলি। অনেক কথা জানতুম না অনেক
১০৩