এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মানুষটাকে পাবে এইখানেই। যাও খোঁজ করে গে দাড়ির।” অখিল চলে গেল।
এলা পাথরের মূর্তির মতাে ক্ষণকাল একদৃষ্টে চেয়ে দাড়িয়ে রইল। বললে, “অন্তু, এ কী চেহারা তােমার।”
অতীন বললে, “মনােহর নয়।”
“তবে কি সত্যি।”
“কী সত্যি।”
“তােমাকে সর্বনেশে ব্যামােয় ধরেছে।”
“নানা ডাক্তারের নানা মত, বিশ্বাস না করলেও চলে।”
“নিশ্চয় তােমার খাওয়া হয়নি।”
“ও-কথাটা থাক্। সময় নষ্ট কোরাে না।”
“কেন এলে, অন্তু, কেন এলে। এরা যে তােমাকে ধরবার অপেক্ষায় আছে।”
“ওদের নিরাশ করতে চাইনে।”
অতীনের হাত চেপে ধরে এলা বললে, “কেন এলে এই নিশ্চিত বিপদের মধ্যে। এখন উপায় কী।”
“কেন এলুম সেই কথাটা যাবার ঠিক আগেই বলে চলে যাব। ইতিমধ্যে যতক্ষণ পারি ওই কথাটাই ভুলে থাকতে চাই। নিচের দরজাগুলাে বন্ধ করে দিয়ে আসি গে।”
১১৩