খানিক পরে উপরে এসে বললে, “চলো ছাদে। নিচের তলাকার আলোর বালবগুলো সব খুলে নিয়েছি। ভয় পেয়ো না।”
দুজনে ছাদে এসে ছাদে প্রবেশের দরজা বন্ধ করে দিলে। বন্ধ দরজায় ঠেসান দিয়ে বসল অতীন, এলা বসল তার সামনে।
“এলা, মন সহজ করো। যেন কিছু হয়নি, যেন আমরা দুজনে আছি লঙ্কাকাণ্ড আরম্ভ হবার আগে সুন্দরকাণ্ডে। তোমার হাত অমন বরফের মতো ঠাণ্ডা কেন। কাঁপছে যে। দাও গরম করে দিই।”
এলার হাত দুখানি নিয়ে অতীন জামার নিচে বুকের উপর চেপে রাখলে। তখন দূরের পাড়ায় বিয়েবাড়িতে সানাই বাজছে।
“ভয় করছে, এলী?”
“কিসের ভয়?”
“সমস্ত কিছুর। প্রত্যেক মুহূর্তের।”
“ভয় তোমার জন্যে, অন্তু, আর কিছুর জন্যে নয়।”
অতীন বললে, “এলী, মনে করতে চেষ্টা করো আমরা আছি পঞ্চাশ কি এক-শ বছর পরেকার এমনি এক নিস্তব্ধ রাতে। উপস্থিতের গণ্ডিটা নিতান্ত সংকীর্ণ, তার মধ্যে ভয়ভাবনা দুঃখকষ্ট সমস্তই প্রকাণ্ডতার ভান করে
১১৪