“না-ই ক্ষমা জানাতে তুমি। কিন্তু কেন এলে এমন করে বেড়া আগুনের মধ্যে। জানি, জানি, বাঁচবার ইচ্ছে নেই তােমার। তা যদি হয় তাহলে কটা দিন কেবলমাত্র আমাকে দাও, দাও তােমার সেবা করবার শেষ অধিকার। পায়ে পড়ি তােমার।”
“কী হবে সেবা! ফুটো জীবনের ঘটে ঢালবে সুধা! তুমি জান না, কী অসহ্য ক্ষোভ আমার। শুশ্রূষা দিয়ে তার কী করতে পার, যে-মানুষ আপন সত্য হারিয়েছে।”
“সত্য হারাওনি অন্তু। সত্য তােমার অন্তরে আছে অক্ষুন্ন হয়ে।”
“হারিয়েছি, হারিয়েছি।”
“বােলাে না বােলাে না অমন কথা।”
“আমি যে কী যদি জানতে পারতে তােমার মাথা থেকে পা পর্যন্ত শিউরে উঠত।”
“অন্তু, আত্মনিন্দা বাড়িয়ে তুলছ কল্পনায়। নিষ্কামভাবে যা করেছ তার কলঙ্ক কখনােই লাগবে না তােমার স্বভাবে।”
“স্বভাবকেই হত্যা করেছি, সব হত্যার চেয়ে পাপ। কোনাে অহিতকেই সমূলে মারতে পারিনি, সমূলে মেরেছি কেবল নিজেকে। সেই পাপে, আজ তােমাকে
১২০