দিলে তার বাকি সময়টুকু। বিষয়টা বাংলা মঙ্গলকাব্য ও চসারের কাব্যের তুলনা। এই নিয়ে সুরেশ মহা উৎসাহিত। এই সংবাদটা চারদিকে প্রচার করে দিলেন। মাধবী মুখ বাঁকা করে বললেন, “বাড়াবাড়ি।”
স্বামীকে বললেন, “এলার কাছে ফস করে মেয়েকে পড়তে দিলে! কেন, অধর মাস্টার কী দোষ করেছে। যাই বলাে না আমি কিন্তু―”
সুরেশ অবাক হয়ে বললেন, “কী বলাে তুমি! এলার সঙ্গে অধরের তুলনা!”
“দুটো নােটবই মুখস্থ করে পাস করলেই বিদ্যে হয় না”,— বলে ঘাড় বেঁকিয়ে গৃহিণী ঘর থেকে বেরিয়ে চলে গেলেন।
একটা কথা স্বামীকে বলতেও তাঁর মুখে বাধে— “সুরমার বয়স তেরাে পেরােতে চলল, আজ বাদে কাল পাত্র খুঁজতে দেশ ঝেঁটিয়ে বেড়াতে হবে, তখন এলা সুরমার কাছে থাকলে—ছেলেগুলাের চোখে যে ফ্যাকাশে কটা রঙের নেশা—ওরা কি জানে কাকে বলে সুন্দর।” দীর্ঘনিশ্বাস ফেলেন আর ভাবেন, এ-সব কথা কর্তাকে জানিয়ে ফল নেই, পুরুষরা যে সংসার-কানা।
যত শীঘ্র হয় এলার বিয়ে হয়ে যাক এই চেষ্টায় উঠে পড়ে লাগলেন গৃহিণী। বেশি চেষ্টা করতে হয় না, ভালো
১২