বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চার অধ্যায় - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 “আপনি যা লিখেছেন সেটা যে একেবারেই আমার কথা হতে পারে না তা আমি বলব না। এই সর্বনেশে ছেলেগুলােকে আমি ভালােবাসি—অমন ছেলে আছে কোথায়। একদিন ওদের সঙ্গে কালেজে পড়েছি। প্রথম প্রথম ওরা আমার নামে বাের্ডে লিখেছে যা-তা— পিছন থেকে ছােটো এলাচ বলে চেঁচিয়ে ডেকেই ভালােমানুষের মতাে আকাশের দিকে তাকিয়েছে। ফোর্থ ইয়ারে পড়ত আমার বন্ধু ইন্দ্রাণী—তাকে বলত বড়ো এলাচ, সে-বৈচারার বহরে কিছু বাহুল্য ছিল, রংটাও উজ্জ্বল ছিল না। এই সব ছােটোখাটো উৎপাত নিয়ে অনেক মেয়ে রাগারাগি করত, আমি কিন্তু ছেলেদের পক্ষ নিয়েছি। আমি জানতুম, আমরা ওদের চোখে অনভ্যস্ত তাই ওদের ব্যবহারটা হয়ে পড়ে এলােমেলাে— কদর্যও হয় কখনাে কখনাে, কিন্তু সেটা ওদের স্বাভাবিক নয়। যখন অভ্যেস হয়ে গেল, সুর আপনি এল সহজ হয়ে। ছােটো এলাচ হল এলাদি। মাঝে মাঝে কারও সুরে মধুর রস লেগেছে—কেনই বা লাগবে না। আমি কখনো ভয় করিনি তা নিয়ে। আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি ছেলেদের সঙ্গে ব্যবহার করা খুবই সহজ, মেয়েরা জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে যদি ওদের মৃগয়া করবার দিকে ঝোঁক না দেয়। তার পরে একে একে দেখলুম ওদের

২০