বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চার অধ্যায় - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 “কিন্তু তবে আপনি যে ওই উমা—”

 “উমা! কালু!―ভালোবাসার শুষ্ক রুদ্ররূপ ওরা সইতে পারবে কী করে। যে দাম্পত্যের ঘাটে ওদের সকল সাধনার অন্ত্যেষ্টিসৎকার, সময় থাকতে সেখানেই দুজনকে গঙ্গাযাত্রায় পাঠাচ্ছি।—সে কথা থাক্। শোনা গেল তোমার ঘরে ডাকাত ঢুকেছিল পরশু রাত্রে।”

 “হাঁ, ঢুকেছিল।”

 “তোমার জুজুৎসু শিক্ষায় ফল পেয়েছিলে কি।”

 “আমার বিশ্বাস ডাকাতের কবজি দিয়েছি ভেঙে।”

 “মনটার ভিতর আহা উহু করে ওঠেনি?”

 “করত কিন্তু ভয় ছিল ও আমাকে অপমান করবে। ও যদি যন্ত্রণায় হার মানত আমি শেষ পর্যন্ত মোচড় দিতে পারতুম না।”

 “চিনতে পেরেছিলে সে কে?”

 “অন্ধকারে দেখতে পাইনি।”

 “যদি পেতে তাহলে জানতে, সে অনাদি।”

 “আহা সে কী কথা। আমাদের অনাদি! সে যে ছেলেমানুষ।”

 “আমিই তাকে পাঠিয়েছিলুম।”

 “আপনিই! কেন এমন কাজ করলেন।”

 “তোমারও পরীক্ষা হল, তারও।”

২৯