বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চার অধ্যায় - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বললে, “মাস্টারমশায়, মনে রইল আপনার কথা, প্রস্তুত থাকব। আমাকে সরাবার দিন হয়তো আসবে, নিঃশব্দেই মিলিয়ে যাব।”

 এলা চলে গেলে ইন্দ্রনাথ বললে, “তােমাকে চঞ্চল দেখছি কেন হে কানাই।”

 “সম্প্রতি রাস্তার ধারে আমার ওই সামনের টেবিলেই বসে গােটাতিনেক গুণ্ডা ছেলে বীররস প্রচার করছিল। আওয়াজে বােঝা যায় জন বৃষভেরই পুষ্যি বাছুর। আমি সিডিশনের নমুনা সুদ্ধ ওদের নামে পুলিসে রিপাের্ট করে দিয়েছি।”

 “আন্দাজ করতে ভুল করনি তাে কানাই?”

 “বরং ভুল করে সন্দেহ করা ভালাে, কিন্তু সন্দেহ করে ভুল করা সাংঘাতিক। খাঁটি বােকাই যদি হয় তাহলে কেউ ওদের বাঁচাতে পারবে না, আর যদি হয় খাঁটি দুশমন তাহলে ওদের মারবে কে। আমার রিপাের্টে উন্নতিই হবে। সেদিন চড়া গলায় শয়তানি শাসনপ্রণালীর উপর দিয়ে রক্তগঙ্গা বওয়াবার প্রস্তাব তুলেছিল। নিশ্চয়ই অভয়চরণ রক্ষিত এদের উপাধি। একদিন সন্ধ্যাবেলায় ক্যাশবাক্স নিয়ে হিসেব মেলাতে বসেছিলুম। হঠাৎ একটা ধুলােমাখা ছেঁড়াকাপড়-পরা ছেলে এসে চুপি চুপি বললে, টাকা চাই পঁচিশটা, যেতে হবে

৩৫