বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চার অধ্যায় - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

জবাবদিহি করতে ওদের সবচেয়ে ভয়;—ওরা নিজেকে ভােলায় তাদেরও ভােলায়। ওদের উপরে যতটা রাগ করলে ফুল স্টীম বানিয়ে তােলা যায় ততটা রাগ করা আমার দ্বারা সম্ভব হয় না।”

 “অদ্ভুত তুমি।”

 “ষোলো আনা মারের চোটে আমাদের মেরুদণ্ড ওরা চিরকালের মতাে গুঁড়িয়ে দিতে পারত। সেটা ওরা পারলে না। আমি ওদের মনুষ্যত্বকে বাহাদুরি দিই। পরের দেশ শাসন করতে করতে সেই মনুষ্যত্ব ক্ষয় হয়ে আসছে তাতেই মরণদশ ধরছে ওদের ভিতর থেকে। এত বেশি বিদেশের বােঝা আর কোনাে জাতের ঘাড়ে নেই এতে ওদের স্বভাব যাচ্ছে নষ্ট হয়ে।”

 “সে ওরা বুঝবে। কিন্তু তােমার এই অধ্যবসায়কে প্রায় অহৈতুক করে তুলেছ এটা আমার কাছে বাড়াবাড়ি ঠেকে।”

 “অত্যন্ত ভুল। আমি অবিচার করব না, উন্মত্ত হব না, দেশকে দেবী বলে মা মা বলে অশ্রুপাত করব না, তবু কাজ করব এতেই আমার জোর।”

 “শত্রুকে যদি শত্রু বলে তাকে দ্বেষ না কর তবে তার বিরুদ্ধে হাত চালাবে কী করে।”

 “রাস্তায় পাথর পড়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে হাতিয়ার

88