করছে এমন সময় খদ্দরের পর্দাটা সরিয়ে দিয়ে অতীন্দ্র দমকা হাওয়ার মতাে ঘরে ঢুকেই ডাক দিল, “এলী।”
এলা খুশিতে চমকে উঠে বললে, “অসভ্য, জানান না দিয়ে এ ঘরে আসতে সাহস কর।”
এলার পায়ের কাছে ধপ করে মেঝের উপর বসে অতীন বললে, “জীবনটা অতি ছােটো, কায়দাকানুন অতি দীর্ঘ, নিয়ম বাঁচিয়ে চলবার উপযুক্ত পরমায়ু ছিল সনাতন যুগে মান্ধাতার। কলিকালে তার টানাটানি পড়েছে।”
“আমার কাপড় ছাড়া হয়নি এখনও।”
“ভালােই। তাহলে আমার সঙ্গে মিশ খাবে। তুমি থাকবে রথে, আমি থাকব পদাতিক হয়ে—এ-রকম দ্বন্দ্ব মনুর নিয়মে অধর্ম। এককালে আমি ছিলুম নিখুঁত ভদ্রলােক, খােলসটা তুমিই দিয়েছ ঘুচিয়ে। বর্তমান বেশভূষাটা দেখছ কী রকম?”
“অভিধানে ওকে বেশভূষা বলে না।”
“কী বলে তবে।”
“শব্দ পাচ্ছিনে খুঁজে। বােধ হয় ভাষায় নেই। জামার সামনেটাতেই ওই যে বাঁকাচোরা ছেঁড়ার দাগ, ও কি তােমার স্বকৃত সেলাইয়ের লম্বা বিজ্ঞাপন।”
“ভাগ্যের আঘাত দারুণ হলেও বুক পেতেই নিয়ে
৪৭