থাকি―ওটা তারই পরিচয়। এ জামা দরজিকে দিতে সাহস হয় না, তার তো আত্মসম্মানবোধ আছে।”
“আমাকে দিলে না কেন।”
“নব যুগের সংস্কারভার নিয়েছ, তার উপরে পুরোনো জামার সংস্কার?”
“ওটাকে সহ্য করবার এমনই কী দরকার ছিল।”
“যে দরকারে ভদ্রলোেক তার স্ত্রীকে সহ্য করে।”
“তার অর্থ?”
“তার অর্থ, একটির বেশি নেই বলে।”
“কী বল তুমি অন্তু। বিশ্বসংসারে তোমার ওই একটি বই জামা আর নেই?”
“বাড়িয়ে বলা অন্যায়, তাই কমিয়ে বললুম। পূর্ব আশ্রমে শ্রীযুক্ত অতীন্দ্রবাবুর জামা ছিল বহুসংখ্যক ও বহুবিধ। এমন সময়ে দেশে এল বন্যা। তুমি বক্তৃতায় বললে, যে অশ্রুপ্লাবিত দুর্দিনে, (মনে আছে অশ্রুপ্লাবিত বিশেষণটা?) বহু নরনারীর লজ্জা রক্ষার মতো কাপড় জুটছে না, সে সময়ে আবশ্যকের অতিরিক্ত কাপড় যার আছে লজ্জা তারই। বেশ গুছিয়ে বলেছিলে। তখনও তোমার সম্বন্ধে প্রকাশ্যে হাসতে সাহস ছিল না। মনে মনে হেসেছিলুম। নিশ্চিত জানতুম আবশ্যকের বেশি জামা ছিল তোমার বাক্সে। কিন্তু মেয়েদের পঞ্চাশ
৪৮