“যথেষ্ট ভালােবাসনি?”
“ওই যথেষ্ট কথাটার কোনাে মানে নেই অন্তু। শক্তি হাত দিয়ে পর্বতকে ঠেলতে পারেনি তাকে দুর্বল বলে অপবাদ দিয়াে না। শপথ করে সত্য গ্রহণ করেছিলুম, বিয়ে করব না। না করলেও হয়তাে বিয়ে সম্ভব হত না।”
“কেন হত না।”
“রাগ কোরো না অন্তু, ভালােবাসি বলেই সংকোচ। আমি নিঃস্ব, কতটুকুই বা তােমাকে দিতে পারি।”
“স্পষ্ট করেই বলো।”
“অনেকবার বলেছি।”
“আবার বলো, আজ সব বলাকওয়া শেষ করে নিতে চাই, এর পরে আর জিজ্ঞাসা করব না।”
বাইরে থেকে ডাক এল, “দিদিমণি।”
“কী রে অখিল, আয় না ভিতরে।”
ছেলেটার বয়স ষােলাে কিংবা আঠারাে হবে। জেদালো দুষ্টমি-ভরা প্রিয়দর্শন চেহারা। কোঁকড়া চুল ঝাঁকড়ামাকড়া, কচি শামলা রং, চঞ্চল চোখদুটো জ্বলজ্বল করছে। খাকি রঙের শর্টপরা, কোমর পর্যন্ত ছাঁটা সেই রঙেরই একটা বােতাম-খােলা জামা, বুক বের করা; শর্টের দুইদিককার পকেট নানা বাজে সম্পত্তিতে ফুলে-
৫৭