এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
একেশ্বরীর কাছে আমারও মাথা হেঁট, এখন প্রসাদের ভাগ নিয়ে রাগারাগি কোরাে না ভাই, উদ্বৃত্তই বেশি।”
এলা অখিলকে বললে, “তাের কী কথা আছে বলে যা।”
অখিল বললে, “কাল আমার মায়ের মৃত্যুদিন।”
“তাইতাে। একেবারে ভুলে গিয়েছিলুম। কাউকে শ্রাদ্ধের নিমন্ত্রণ করতে চাস?”
“কাউকে না।”
“তবে কী চাস।”
“পড়ার ছুটি চাই তিন দিন।”
“কী করবি ছুটি নিয়ে।”
“খরগােশের খাঁচা বানাব।”
“খরগােশ তাের একটিও বাকি নেই, খাঁচা বানাবি কার জন্যে।”
অতীন হেসে বললে, “খরগােশ তাে কল্পনা করলেই হয়, খাঁচাটা বানানােই আসল কথা। মানুষ অনিত্য, আসে আর যায় কিন্তু নিত্যকালের মতাে পাকা করে তাদের খাঁচা বানাবার ভার নিয়েছেন ভগবান মনু থেকে আরম্ভ করে মনুর আধুনিক অবতার পর্যন্ত। এই কাজে তাঁদের ভীষণ শখ।”
“আচ্ছা, অখিল যা তাের ছুটি।”
৫১