দ্বিতীয় কথাটি না বলে অখিল দৌড়ে চলে গেল।
অতীন বললে, “ওকে পােষ মানাতে পারলুম না। আমার সাবেক সম্পত্তির ঝড়তিপড়তির মধ্যে ছিল একটা কব জিঘড়ি, আধুনিক ছেলেদের পক্ষে সাত রাজার ধন। একদিন সেটা ওকে দিতে গিয়েছিলুম। মাথা ঝাঁকানি দিয়ে চলে গেল। এর থেকে বুঝবে ওতে আমাতে ব্যাপারটা কম্যুন্যাল হয়ে উঠেছে, অন্তু-অখিল রায়ট হবার লক্ষণ।”
“ছেলেদের সঙ্গে ভাব করতে তােমার জুড়ি কেউ নেই, তবু এই বাঁদরটার কাছে হার মানলে কেন।”
“মাঝখানে আছে তৃতীয় পক্ষ, নইলে ওতে আমাতে হরিহর বনে যেতুম। থাক্ সে-কথা; এখন বলো, তােমার কৈফিয়তটা কী। কেন আমাকে সরিয়ে রাখলে।”
“একটা সােজা কথা কেন তুমি মনে রাখ না যে, তােমার চেয়ে আমি বয়সে বড়াে।”
“কারণ এই সােজা কথাটা ভুলতে পারিনি যে, তােমার বয়স আটাশ, আমার বয়স আটাশ পেরিয়ে কয়েক মাস। প্রমাণ করা খুব সহজ, কারণ দলিলটা তাম্রশাসনে ব্রাহ্মীলিপিতে লেখা নয়।”
আমার আটাশ তােমার আটাশকে বহুদূরে পেরিয়ে
৬০