পাতা:চার অধ্যায় - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

গেছে। তােমার আটাশে যৌবনের সব সলতেই নির্ধূম জ্বলছে। এখনও তােমার জানলা খােলা যাদের দিকে, তারা অনাগত তারা অভাবিত।”

 “এলী, আমার কথাটা কিছুতে বুঝতে চাচ্ছ না বলেই বুঝছ না। দলের কাছে ভগবানের সত্যের বিরুদ্ধে সত্য নিয়েছ তাই নানা তর্ক বানিয়ে নিজেকে ভােলাচ্ছ, আমাকেও। ভােলাও কিন্তু এ-কথা বােলাে না আমার জীবনে এখনও অনাগত অভাবিত দূরে রয়ে গেছে। এসেছে সে, সে তুমি। তবুও আজও সে অনাগত। চিরদিনই কি তবে জানলা খােলা থাকবে তার দিকে। সেই শূন্যের ভিতর দিয়ে কেবলই বাজবে আমার আর্ত সুর, চাই তােমাকে চাই, আর অন্য দিক দিয়ে ফিরে আসবে না কোনাে উত্তর?”

 “ফিরে আসছে না, এমন কথা বলছ কী করে অকৃতজ্ঞ। চাই, চাই, চাই, তােমার চেয়ে বেশি কিছুই চাইনে এ জগতে। যে-সময়ে দেখা হলে শুভদৃষ্টি সম্পূর্ণ হত সে-সময়ে হয়নি যে দেখা। কিন্তু তবু বলছি ভাগ্যে হয়নি।”

 “কেন। কী ক্ষতি হত তাতে।”

 “আমার জীবন সার্থক হত, কতটুকুই বা তার দাম। কারও মতো নও যে তুমি; মস্ত তুমি। তফাতে

৬১