বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চার অধ্যায় - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পুরুষেরা মস্ত বড়ো, মেয়েরা তাদের ছােটো করবে এই তােমার ভয়। মেয়েদের বড়ো হবার দরকারই হয় না। তারা যতটুকু ততটুকুই সুসম্পূর্ণ। হতভাগা যে-পুরুষ বড়াে নয়, সে অসম্পূর্ণ, তার জন্যে সৃষ্টিকর্তা লজ্জিত।”

 “অন্তু, সেই অসম্পর্ণের মধ্যেও আমরা বিধাতার ইচ্ছাটা দেখতে পাই—সেটা বড়ো ইচ্ছা।”

 “এলী, বিধাতার ইচ্ছাটাই যে বড়ো তা বলতে পারিনে, তার কল্পনাটাও কোনাে অংশে ছােটো নয়। সেই কল্পনার তুলির ছোঁওয়ায় জাদু লেগেছে মেয়েদের প্রকৃতিতে, তারা সংসারের ক্ষেত্রে এনেছে আর্টিস্টের সাধনা, রঙে সুরে আপন দেহে মনে প্রাণে অনির্বচনীয়কে প্রকাশ করছে। এটা সহজ শক্তির কর্ম, সেইজন্যেই এটা সহজ নয়। ওই যে তােমার শাঁখের মতাে চিকন রঙের কণ্ঠে সােনার হারটি দেখা দিয়েছে ওর জন্যে তােমাকে নােটবই মুখস্থ করতে হয়নি। আপনার জীবনলােকে রূপের সৃষ্টিতে রস জোগাতে পারল না, এমন হতভাগিনী আছে, মােটা সােনার বালা প’রে গিন্নীপনা করে সেই মুখরা; নয়তাে দাসী হয়ে জীবন কাটায় উঠোন নিকিয়ে। সংসারে এই সব অকিঞ্চিৎকরের সীমাসংখ্যা নেই।”

 “সৃষ্টিকর্তাকেই দোষ দেব অন্তু। লড়াই করবার

৬৬