फ्रांरूजील नांफ्रैंक । রাজা । মন্ত্রিবর! আর আমাকে উহাতে অনুরোধ কর না । কি ভূমি, কি আমি দুরাত্মাকে উপদেশ দিতে সাধ্যমতে ক্রটি করি নাই, যখন সে সমস্ত উপদেশবাক্যে তাহার চরিত্রের কিছুমাত্র .সংশোধন হয় নাই, তখন এ সময়ে বলা যে নিতান্ত নিষ্ফল হবে তায় আর সন্দেহ নাই । মন্ত্রী। মহারাজ ! পূর্বে আমরা উপদেশ দিতে ক্রটি করি নাই সত্য ; কিন্তু বিবেচনা করে দেখুন, মনুষ্যের মন সকল সময়ে সমান থাকে না । বোধ করি, এই সময়ে একবার কুমারকে বুঝাইলে এবং আপনার এরূপ অবস্থা দেখিলে, তিনি কখনই অসৰ্ম্মত হবেন না । রাজা । মন্ত্রিবর! আমারে বিরক্ত করাই কি তোমার উদ্দেশ্য ? তুমি আমার অনেক দিনের আশ্রিত, তোমার অনুরোধ তাচ্ছিল্য করা আমার পক্ষে নিতান্ত অযুক্ত ; কিন্তু এ প্রকার অসঙ্গত বিষয়ে আমি কিরূপে মত দিতে পারি ? এই জন্য বলিতেছি, আমার সম্মুখে আর সেই দুরাচারের নামমাত্রও করিও না । ক্রমে উপদেশ দিয়ে তিরস্কার করে যার স্বভাবের কিঞ্চিম্মাত্রও পরিবর্তন হয় নাই, এক্ষণে সে স্বভাব যে সহস। পরিবর্তিত হবে, ইহা কখনই যুক্তিসিদ্ধ নহে। উৎপাদনের পর যে বৃক্ষ নত না হয়, বৃহৎ হইলে সে কি কখনো নত হইতে পারে? মন্ত্রী । ( স্বগত) আহা ! মহারাজ সাক্ষাৎ ধর্মাবতার, ভ্ৰমেও কাহার অনিষ্ট করেন নাই, এর অদৃষ্টে যে কেন এমন হলে, বলতে পারি না। রাজারা এক এক জনে চার পাঁচটা বিবাহ করেন, কিন্তু মহারাজের তাহা কিছুই নাই। এমন কি, মহিষীর মৃত্যুর পর পুনর্দার-পরিগ্রহার্ধে কত লোক মহা
