১৩০ कांझभौल माँछेदः । সুখ বলিয়া নির্দেশ করিতেছি, তাহা বস্তুত মুখ নহে, সুখের আভাষ মাত্র । ঐ মুখের আভাষই এই পার্থিব জগতের মুখ, ঐ আষাৰ্যই এই পার্থিব জগতের জীবন, প্রকৃত মুখ দূরে, তাহ মনুষ্যের ভোগ্য নহে ; কেবল তাহার আশাতেই জগত অগ্রসর ; দেখুন সংসারে যে কোন পদার্থ লক্ষিত হয়, সকলের অন্তরেই উন্নতির কামনা স্কট বা অক্ষ ট ভাবে নিহিত । থাকিতে দেখা যায় ; কেহই নিষ্কাম নছে। অতএব আপনি আপনাকেই যে কেবল দুঃখিত বিবেচনা করিতেছেন, তাঁহা নয়, জগতের সকলেই দুঃখী, তবে যাহারা নিতান্ত সরল-প্রকৃতি, তাহারাই দুঃখে একান্ত অভিভূত হইয়া সমুদায় জগতকেই দুঃখময় দেখিতে থাকে, কিন্তু মনুষ্যমত্রেরই ওরূপ সরল হওয়া নিতান্ত অনুচিত, বিশেষ রাজার পক্ষে উহা বিশেষ নিন্দিত । রাজা দেব অংশে জন্মিয়া থাকেন, এ কথার তাৎপর্য্য আর কিছুই নহে, সামান্য লোক শুদ্ধ আপনার অবস্থা দর্শনেই অধিকারী, কিন্তু রাজা শুদ্ধ আপনার নয়, সহস্ৰ সন্থঅ লোকের অবস্থা দর্শনের জন্যই রাজা সৃষ্ট হুইয়াছেন, যাহাদিগকে সৰ্ব্বদা অসংখ্য লোকের অবস্থা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করিতে হয়, তাহার কখনই সীমান্য মানব প্রকৃতি-সম্পন্ন থাকিতে পারে না ; থাকিলে তাহাঁদের রাজত্বপদও চিরস্থায়ী হয় না । মহারাজ ! একজন সামান্য লোক যাহাঙ্গে ক্ষুব্ধ হইবে, একজন রাজারও কি তাহাঁতে ক্ষোভের উদয় হওয়া সম্ভব ? আপনি রাজা, রাজধৰ্ম্মানুসারে অনেকবার অনেক যুদ্ধে জয়লাভ করিয়াছেন, এক্ষণে অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে শক্র কর্তৃক পরাজিত ইয়াছেন, তাহাতে আপনার বিশেষ ক্ষুব্ধ হইবার কারণ
